আমার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা জানার জন্য- এখানে ক্লিক করুন
আমার কনটেক্ট এড্রেস জানতে-এখানে ক্লিক করুন
আমার full info সম্পর্কে জানতে- এখানে ক্লিক করুন
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমার শ্রদ্ধেয় মরহুম বাবা আমার নাম রেখেছেন আরিফ উল্যাহ চৌধুরী। ভাইদের নামের শুরুতে অবশ্য এস এম দিয়ে শরু করেছিলেন। আমার নামের শুরুতেও দিয়েছিলেন।
কিন্তু আমাকে যখন স্কুলে ভর্তি করাতে নিলেন, তখন স্কুলের স্যারেরা, স্কুলে আমার নাম এন্ট্রি করার সময়, নামটি বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে বলে, নামের শুরুতে এস এম, এ দু'টি শব্দ বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন। যা বাবাকে একদিন আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম এবং বাবা আমায় এরূপই বলেছিলেন।
আমার নামটি, আরবী ভাষা হতে উৎপত্তি এবং মুসলিম সম্প্রদায়ভূক্ত নাম। এর অর্থ আমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহু তা'য়ালার পরিচয় দানকারী।
তাই আমি যেন আমার নামের এ অর্থকে স্বার্থক করতে পারি, এ জন্য লিখার শুরুতেই, আমি সকলের নিকট দোয়া কামনা করে এবং পরম করুণাময়ের নামে ও তাঁরই শক্তিতে লিখা আরম্ভ করছি। আল্লাহু তা'য়ালা তাওফিক দিলে, যা আমার মৃত্যু পর্যন্ত চলবে ইনশা'আল্লাহ।
আমরা ৩ ভাই; ২ বোন। ভাইদের মধ্যে আমি সবার ছোট।
আমার বড় ভাই থেকে ক্রমান্বয়ে আমাদের সকল ভাই-বোনদের নাম নিম্নে উল্লেখ করলাম-
১। এস এম শহীদুল্লাহ চৌধুরী
২। হারিছা আক্তার
৩। রোকেয়া আক্তার
৪। হাছিনা আক্তার
৫। সেলিনা আক্তার
৬। এস এম শরাফত উল্যাহ চৌধুরী
৭। আরিফ উল্যাহ চৌধুরী
উপর্যুক্ত ৩ নং ও ৪ নং ক্রমিকে উল্লেখিত আমার এ ২ জন বোন, আমার জন্মের অনেক আগে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। রোকেয়া আক্তার, তিনি মারা গিয়েছিলেন ধনুষ্টংকারে আক্রান্ত হয়ে তার ৮ বছর বয়সের সময়। এবং হাছিনা আক্তার, তিনি মারা গিয়েছিলেন রক্ত আমাশয়ে আক্রান্ত হয়ে তার ৯ বছর বয়সের সময়। যা আমার মা আমাকে বলেছেন।
আমি সর্ব শক্তিমান আল্লাহু তা'য়ালার নিকট আমার মরহুমা এ ২ বোনের জন্য জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চাসন আশা করছি; যেহেতু তাঁরা ছোট বয়সেই মারা গিয়েছেন। এবং জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চাসনে আমার বোনদের সাথে আমি যাতে, আমার ইন্তেকালের পর পরই দেখা করতে পারি, আমার মহান রবের নিকট আমি এ প্রার্থনা করছি।
যেহেতু আমার জন্মেরও অনেক আগে আমার এ দু'বোন মারা গিয়েছিলো, তাই উপরে আমি আমার বোন ২ জন বলে উল্লেখ করেছি। অর্থাৎ শুধু যে ২ জন জীবীত আছেন, তাদের কথা বলেছি।
তার মানে মৃত এ ২ বোন সহ আমরা ৩ ভাই ও ৪ বোন। অর্থাৎ আমার মা-বাবা ৭ সন্তানের জনক ও জননী।
আমার বাবার নাম ছিদ্দিক আহাম্মদ। বাংলাদেশ এনআইডি কার্ড অনুযায়ী তাঁর জন্ম তারিখ ছিলো ০১ জানুয়ারী ১৯২৭। তাঁর বাবার নাম, মানে আমার দাদার নাম মৃত আবদুর রহমান এবং তাঁর মায়ের নাম, মানে আমার দাদুর নাম মৃত আফজল বিয়া। তাঁর এন আই ডি নাম্বার 3012943174557. তাঁর স্হায়ী ঠিকানাঃ ১২৩ গোবিন্দপুর, হাজীর বাজার-৩৯০০, ফেনী সদর, ফেনী।
তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ভূক্ত ছিলেন এবং জন্ম সূত্রে বাংলাদেশী নাগরিক ছিলেন।
আমার বাবার মৃত্যু তারিখঃ ০৬ নভেম্বর ২০১২
কাগজ-কলম অনুযায়ী মৃত্যুকালে আমার বাবার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর ১০ মাস ৫ দিন।
আমি আমার বাবার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর জন্য জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চাসন কামনা করছি।
আমার মায়ের নাম হালিমা খাতুন। তাঁর মায়ের, মানে আমার নানুর নাম মৃত আছিয়া খাতুন। আমার মায়ের জন্ম তারিখঃ ০১ জুলাই ১৯৪৮. তাঁর এন আই ডি নম্বরঃ 3012943174560. এন আই ডি কার্ড অনুযায়ী আমার মায়ের বর্তমান বয়স ৭৬ বছর ৫ মাস ২৭ দিন। আল্লাহু তা'য়ালার অশেষ মেহেরবানীতে আমার মা এখনো জীবীত আছেন।
যে বাড়িতে আমার মায়ের জন্ম, আমার নানার সে বাড়িটি ছিলো বাংলাদেশের ফেনী জেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মজুপুর গ্রামে। কিন্তু পরে তারা এ ঠিকানাটি স্থায়ী ভাবে ছেড়ে দিয়ে, দাঁতমারা বাজার, চট্টগ্রাম (হেঁয়াকোঁ) এ পার্বত্য অঞ্চলে স্থায়ী ভাবে বসতি স্থাপন করেন এবং বর্তমানেও সেখানেই আছেন। ফেনীর দৌলতপুরে এখন আর তাদের কিছুই অবশিষ্ট্য নেই। তারা এখন স্থায়ী ভাবে দাঁতমারা বাজার, এ পার্বত্য অঞ্চলেই থাকেন। অর্থাৎ আমার মরহুম নানার বর্তমানকার স্থায়ী ঠিকানা- দাঁতমারা বাজার, চট্টগ্রাম।
আমার মা সৈয়দ বংশীয় এবং জন্ম সূত্রে বাংলাদেশী নাগরিক।
এন আই ডি কার্ডে আমার মা ও বাবার যে জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে, তা আসলে সত্য নয়। কারণ বাংলাদেশ সরকার এন আই ডি কার্ড বানিয়েছে মাত্র কিছু বছর হলো। এ দেশের সরকার এন আই ডি কার্ড বানানো আরম্ভ করেছিলো আমার মায়ের জন্মের কমপক্ষে ৪৫ বছর পরে। ফলে এটি বানানোর সময় অনুমান করে একটি ডেট বসানো হয়েছিলো।
বাস্তবে আমার বাবা আনুমানিক প্রায় ৯৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন এবং আমার মায়ের বর্তমান বয়স প্রায় ৯০ বছরের মত হবে (২৪/১২/২০২৪ এর হিসাব অনুযায়ী)।
আমি আমার মায়ের দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করছি।
যদিও আমার বাবা আমার ও আমার ভাইদের নামের শেষে চৌধুরী, এ বংশীয় পরিচয়টি প্রদান করেন; আমি কিন্তু বাবার দেয়া এ বংশীয় পরিচয়ে থাকতে না চেয়ে, আমার মায়ের বংশ, সৈয়দ হিসেবেই আমার নিজের এবং আমার সন্তানদের পরিচয় প্রদান করি এবং খুব সহসাই আমি আমার মা, আমার এবং আমার সন্তানদের নামের এফিডেভিট করিয়ে চৌধূরী বাদ দেবো ও আমাদের সকলের নামের শুরুতে সৈয়দ সংযোজন করবো ইনশা'আল্লাহু তা'য়ালা। অর্থাৎ আমরা চৌধুরী বংশের সদস্য নই; আমরা সৈয়দ বংশের সদস্য। তার মানে আমার এবং আমার সকল ওয়ারিশের বংশ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বংশ। এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের মাতৃকূল ও পিতৃকূলের দিক থেকে সকলেরই বংশ হবে শুধুমাত্র সৈয়দ বংশ। যার সূচনা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) থেকে এবং এর প্রারম্ভিকতা হযরত আলী (রাঃ) ও হযরত ফাতেমা (রাঃ) থেকে।
অতএব আমরা ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এঁর ওয়ারিশ।
কিভাবে এবং কোন সূত্রে আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর ওয়ারিশ বা সৈয়দ বংশীয় তা বিস্তারিত ভাবে জানতে, আপনারা-
আমার শৈশবঃ
(০-১২ বছর, ১৯৭৬-১৯৮৭ ইং, জন্ম থেকে প্রাথমিক শিক্ষা স্তর শেষ করা পর্যন্ত):
এন আই ডি কার্ডে আমার যে জন্ম তারিখ লিখা আছে (০১/০৬/১৯৭৭ ইং) তা আসলে সত্য নয়। কথাটি বলেছিলেন আমার বড় ভাই। তার মতে এন আই ডি কার্ডে আমার বয়স কমপক্ষে ১ বছর কমানো হয়েছে। চাকুরী পাওয়ার সুযোগ যাতে এক বছর বেশি থাকে, তাই স্কুল থেকে হয়তো এরুপ করা হয়েছে বলে আমার ধারনা। কারণ তখনো বাংলাদেশে শিশু জন্মসনদ এন্ট্রি বা এন আই ডি কার্ডের কোন নিয়ম ছিলো না। জন্ম তারিখের এন্ট্রি, ছাত্ররা যখন এস এস সি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করতো, সর্বপ্রথম তখনই একজন ছাত্র তার জন্ম তারিখটি তখন প্রদান করতে হতো। এস এস সি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের আগে বাংলাদেশের কোন পর্যায়ে জন্ম তারিখের প্রয়োজন পড়তো না তখন। আর যারা লেখাপড়া করতো না, তাদের কোথাও জন্ম তারিখ এন্ট্রি করার নিয়ম ছিলো না।
বাংলাদেশে আনুমানিক ১৯৯৫ ইং সনে সর্ব প্রথম সরকার কর্তৃক এ দেশের নাগরিকদেরকে জন্মসনদ প্রদানের প্রক্রিয়া আরম্ভ করা হয়েছিলো। আর আমি এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছিলাম ১৯৯৩ ইং সনে।
এখনো স্পষ্ট মনে পড়ছে (৩০/১২/২০২৪), আমার বাবা, আমার মেঝ ভাই সহ আমাকে আমার প্রায় ৫ বছর কি ৬ বছরের সময় ১৯৮৩ সনের দিকে গোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেন।
আমার এখনো খুব সুন্দর করে মনে আছে, যখন ভর্তি হওয়ার জন্য স্কুলে যাচ্ছিলাম, তখন আমার মেঝ ভাইকে কৌতুহল ও ভয় মিশ্রিত ভাবে বলছিলাম, ভাইয়া! স্কুলে আমাকে ওরা কী করবে!? সাথে অবশ্য আরো কে একজন যেন ছিলো! তখন তারা আমাকে নিয়ে একটু মজা করলো!
আজ খুব মন চায়, আমার ভালো ভালো স্মৃতি সমূহ যদি ভিড়িও আকারে বেহেশতে গিয়ে দেখতে পারতাম!?
ইনশা'আল্লাহ রবের অশেষ রহমতে হয়তো পারবোও!
ছোটবেলাতে ফিরে যাওয়াতো আর সম্ভব না তাই!
এরপর ১৯৮৯ ইং এর দিকে সফল ভাবে ৫ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা স্তর শেষ করি, মানে ৫ম শ্রেণী পাশ করি।
অবশ্য ৫ম শ্রেণীতে থাকা কালীন, আমার বাবার সাথে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে সঠিক বোঝাপড়ার অভাবে আমাকে উনি ১ বছর পড়াননি, মানে স্কুলে যেতে দেননি।
আমার কৈশোরঃ
(১৩-১৭ বছর, ১৯৮৮-১৯৯২ ইং, প্রাথমিক শিক্ষা স্তর সমাপনী থেকে এস এস সি, মানে মধ্যমিক সমাপনী পর্যন্ত):
৫ম শ্রেণী পাশ করার পর যথারীতী ভর্তি হই নিজ গ্রামস্থ গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে, যা গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থিত।
এখান থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে ১৯৯৩ ইং সনের পরীক্ষায় ২য় বিভাগে এস এস সি পাশ করি। যে পরীক্ষাটি বছরের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এ পরীক্ষায় অল্প কয়েক নাম্বারের জন্য আমি ১ম বিভাগ পাইনি।
পাইতাম, কিন্তু টাকার অভাবে সঠিক সময়ে কোন গাইড বই বা নোট বই কিনতে পারিনি! বাবার কাছে এতো টাকা ছিলো না যে, আমাকে অন্তত একমাস প্রাইভেট পড়াবে! আমার কোন গৃহ শিক্ষক ছিলো না। আবার নিজেও বেশি চালাক হয়ে যাওয়াতে পাঠ্যবই বাদ দিয়ে গান শোনা, টিভি দেখা ইত্যাদিতে সময় ব্যয় করেছি বেশি।
মনে পড়ে, সেই শিশু কালেই আমার বড় ভায়ের বউ এর দিকের এক আত্মীয়কে বলেছিলাম, আমাকে মাদ্রাসায় পড়ালে ভালো হতো!
খুব মনেপড়ে ছোটবেলায় বাবা আমাকে পবিত্র কুরআন শরীফ হিফজ করানোর কথা বলেছিলো।
কিন্তু কেন যে বাবা পড়ায়নি, তা আমি জানি না!
হায় আফসোচ! যদি তিনি আমাকে হেফজ মাদরাসায় পড়াতেন; আর যদি আমি হাফেজ হতাম, আর আলেম হতাম, তাহলে তা আমার জন্য হয়তো কতইনা ভালো হতো!
অথচ তার বিপরীতে অষ্টম শ্রেণী পাশ করার পর বাবা আমাকে আর লেখা-পড়াই করাতে চাননি।
তিনি চেয়েছিলেন, আমাকে টেইলারিং কাজ শিখিয়ে বিদেশ পাঠিয়ে দিতে। কিন্তু আমি এতে রাজি হইনি। বরং এতে বাবাকে দোষারোপ করেছিলাম।
অর্থনৈতিক টানাপোড়নে পড়ে, অথবা অর্থ এবং শিক্ষা ও আমার ডানপিঠে আচরণ এ তিনের সাংঘর্ষিক তিক্ত পারিবারিক ও সামাজিক প্রতিফলের অভিজ্ঞতা থেকে হয়তো তিনি এ রকমটি চেয়েছিলেন।
এ সময়ে, অর্থাৎ ৮ম শ্রেণীতে থাকা কালীন একবার লেখা-পড়া ছেড়ে দিয়ে, বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম পালিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরে উপায় বুদ্ধি খুঁজে না পেয়ে, আবার নিজে নিজেই ফিরে আসি।
আমার যৌবনকালঃ
(১৮ বছরের পর থেকে বা ১৯৯৩ ইং থেকে বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারি এ ভর্তি হওয়ার পর থেকে চলমান সময় এবং ইনশা'আল্লাহ যা আমার পৌঢ় হওয়ার আগ পর্যন্ত চলবে)
মাধ্যমিক শিক্ষাস্তর, মানে এস এস সি পাশের পর ১৯৯৩ ইং সনে ভর্তি হই ফেনী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে। এখানে বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ইলেকট্রিক্যাল টেকনলোজিতে ৩ বছর মেয়াদী (বর্তমানে ৪ বছর) ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স কমপ্লিট করি। এবং ১৯৯৭ ইং সনে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল টিসার্চ ট্রেনিং কলেজ, তেজগাঁও ঢাকা- এ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ৬ষ্ঠ পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে (যেহেতু রাজনৈতিক সংঘর্ষের কারণে তখন ফেনী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট বন্ধ ছিলো) ২য় বিভাগে পাশ করি।
এ সময়ে আমি পাঠ্যবই অধ্যয়নের চাইতে উপন্যাস ও ধর্মীয় বই পড়ি বেশি। একটি উপন্যাস লিখেছিলামও; কিন্তু তা প্রকাশ করতে পারিনি।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশের পর কিছু কাল সরকারী চাকরি খুঁজি এবং এরই মধ্যে ভর্তি হই, সম্ভবত ৪ মাস মেয়াদি ছিলো, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরী সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), তেজগাঁও, ঢাকা- এ প্রতিষ্ঠানে শিল্প কারখানা রিলেটেড ইলেকট্রিক্যাল ট্রেড কোর্স অধ্যয়নের জন্য।
কোর্সটি কমপ্লিট করার আগেই কে যেন আমাকে নিয়ে গেলো কলাগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, বন্দর, নারায়নগঞ্জ-এ উচ্চ বিদ্যালয়ের জেনারেল ইলেকট্রিশিয়ান ট্রেডে, ট্রেড ইন্সট্রাক্টর পদে পরীক্ষা দিতে।
পরীক্ষায় আমি প্রায় ৪০/৫০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ১ম স্থান অধিকার করলাম এবং ৮ ফেব্রুয়ারী ২০০০, এ তারিখে উক্ত পদে কারিগরী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। আমার ইনডেক্স নাম্বার ছিলো ৮০২২১৮।
আমার যোগ্যতা, দক্ষতা, উদারতা, সরলতা, বড়দেরকে সম্মান, ধার্মীকতা ও ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্নেহ-ভালবাসার মধ্য দিয়ে যথেষ্ট সুনামের সহিত শিক্ষকতা করে যাচ্ছিলাম। ছাত্র ও এলাকাবাসী আমার উপর যথেষ্ট সন্তুষ্ট ছিলো। আমার উপর তারা এতোই খুশি ছিলো যে, যা কোনদিন ভাষায় প্রকাশ করা আমার দ্বারা সম্ভব হবে না হয়তো। এতে শিক্ষকেরাও আমাকে সম্মান করতে ও আমাকে ভালোবাসতে বাধ্য হতে হচ্ছিলো।
কাছেই একটা লজিংয়ে উঠেছিলাম। কারণ প্রাথমিক ভাবে স্কুল থেকে আমি তেমন কোন বেতন পেতাম না। স্কুল থেকে সামান্য যা পেতাম তা দিয়ে আমার ঘর ভাড়া ও খাওয়া-দাওয়া সম্ভব হয়ে উঠতো না। তাই বাধ্য হয়েই লজিংয়ে থাকতে লাগলাম।
ছাত্র-ছাত্রীরা দলে দলে আসতে লাগলো আমার কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য। কিন্তু গৃহকর্তা এতে রাজী না থাকায় প্রাইভেট পড়ানো অব্যাহত করতে পারলাম না।
সরকারী নিবন্ধন না হওয়ায় ঘর ভাড়া করার সাহসও পাচ্ছিলাম না। তারপরও ঘরভাড়া নেয়ার জন্য অনেক খুঁজেছি। কিন্তু বেচেলর হিসেবে কোন ঘরভাড়া দিতে ঐ এলাকাবাসী রাজী ছিলো না।
লজিং বাড়িতে আমাকে থাকতে দেয়া ছোট্ট খুপড়ি ঘরটি, যা লজিং কর্তাদের ঘরের সামনেই তাদের বাড়ির সম্মুখে, তাদের মেইন ঘর থেকে আলাদা করে নির্মিত ছিলো।
এদিকে শিক্ষক হিসেবে সরকারি নিবন্ধন পেতে ৬ মাসেরও কিছু বেশি সময় লাগলো বলে মনে হয়।
এরপর এ বছরই, মানে এ ২০০০ সনের সেপ্টেম্বরের দিকেই আমার এমন এক জ্বর হলো, যা আমি হয়তো আমৃত্যু মনে রাখতে পারবো।
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা আমাকে দেখার জন্য অনেক ফল-ফ্রুট নিয়ে আমার সেই ছোট্ট রুমটিতে হাজির হয়ে ছিলো, যা আজো যেন আমার চোখের উপর ভাসতেছে।
মূলত এরপর থেকেই আমার জীবনের মোড় পরিবর্তন হতে শুরু করলো।
নিকটে ছিলো একটি নূরানী মাদরাসা। অল্পদিনের মধ্যেই মাদরাসার হুজুরদের সাথে আমার ভালো একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠলো। বিশেষ করে মাওলানা আবদুল আজীজ (দা.বা.)। উনার কাছে শুরু করলাম পবিত্র কুরআন শরীফ কিভাবে শুদ্ধ করে পড়া যায়, সে শিক্ষা। উনিও আগ্রহ ভরে পড়ালেন। প্রতিদিন পড়তাম। প্রায় ২/৩ মাস পড়েছিলাম। জানি না, উনি আজ কোথায় আছেন! কেমন আছেন! শুধু আমার রবের নিকট উনার জন্য এ প্রার্থনা করছি যে, "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ইয়া আল্লাহু তা'য়ালা আমার শিক্ষকের জন্য তুমি সুস্থতা ও ঈমানের সহিত দুনিয়াতেও শান্তি ও দীর্ঘ নেক হায়াত রাখিও এবং তাঁর ইন্তেকালের পরে তাঁকে জান্নাতের উচ্চ আসন দান করিও। আর আমাকে হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) এঁর উসিলায় হলেও তোমার একজন ওলির দপ্তর দান করো, যে হবে তোমার ওলি। এবং তোমার এ অলিকে মেনে চলার তাওফিক দান করিও। আর তাঁর মাদরাসায় আমাকে একটা শিক্ষকতার দায়িত্ব দান কর। ও সেখানে আমাকে সকলের দ্বারা সম্মানিত করিও। এবং সেখান থেকেই আমাকে তোমার রহমতে ও বিশেষ ব্যবস্থায় মক্কার মসজিদ, মসজিদে হারাম শরীফে নিয়ে যাবে। তোমার নিকট এ ফরিয়াদ আমার। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
এদিকে স্কুলের স্যারেরা অনেকে আমাকে আর ভালো চোখে দেখছিলো না। দু'এক দিন দু'এক জনে বলেই ফেলে ছিলো, নূরানী হুজুরদের সাথে কেন এতো সখ্যতা আমার? তারা সামাজিক ভাবে কি আমাদের সমান!?
তাদের কথা হলো, আমরা হাইস্কুল স্যার! আর এঁরা মাত্র নূরানী হুজুর!?
প্রত্যেকের একটা শ্রেণী ভেদ আছে! সোসাইটি আছে!
আমি নূরানী হুজুরদের সাথে মিশে, হাইস্কুল টিচারদের মান-ইজ্জত খর্ব করছি কিনা, এ নিয়ে আমার টিচার মহাশয়দের মধ্যে ছিলো অনেকটা ভয়! তাই তাদের অনেকে আমাকে এডিয়ে চলতো! আমি অনেকটা বুঝতে পারতাম না, কেন স্যারেরা আমাকে এভাবে এডিয়ে চলছে এখন। যেই স্যারেরা আমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলো, সেই স্যারেরা আমার সাথে চলাফেরা কমিয়ে দিয়েছে কেন!?
লজিং বাড়িতে ছাত্র-ছাত্রি হিসেবে ছিলো অষ্টম শ্রেণীর একটা মেয়ে, ৪র্থ শ্রেণীর তার একটা ছোট বোন এবং ক্লাস ওয়ানের একটা ছোট ভাই।
৮ম শ্রেণীর এ মেয়েটার কিছু কথা আমার দিলে যেন গেঁথে আছে আজো; হয়তো অনন্তকাল থাকবে। একদিন ও বলে, "স্যার আপনার সাথে কি আমার জোড়া!? আপনার সাথে আমার জোড়া হলেতো আমার কোপাল আসমানে লাগতো!"
আরেকদিন ও বলে, "আপনাদের বাড়ি নিবেন আমায়!? আমাকে এ নরকপুরী থেকে উদ্ধার করেন"
হয়তো আমাকে আপন করতে ওর মা-বাবা, দাদা-দাদু উস্কে দিয়েছিলো তাকে আমার বিরুদ্ধে। আরেকদিন সে বলে কি, "আমি যদি কোন কিছু চেয়ে না পাই, তাহলে আমি তাকে জনমের মতো শিক্ষা দিই, আর পঙ্গু করে ছাড়ি!"
আমি এ সব ব্ল্যাক মেজিক বুঝতামও না; বিজ্ঞান মনষ্কা ছিলাম ও এ ধরনের কিছুকে পাত্তা দিতাম না।
তবে ঐ স্কুল ছেড়ে দিয়ে বাড়ি আসারও প্রায় ৩ বছর যাবৎ কেউ যদি তার চোখের দিকে আঙুল নিতো, তখন আমি যেন কেমন অস্বাভাবিক ব্যবহার করতাম, মানসিক রোগীর মতো চরম যন্ত্রণায় ভূগতাম।
সে চোখে আঙুল দিয়ে প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে আমায় এমন ভয় পাইয়ে দিয়ে ছিলো যে, এ জন্যে আমার এ অবস্থা হয়েছিলো।
আসলে প্রেম নিবেদন করা, এটা কোন অপরাধ নয়। তবে প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে, প্রেমিককে পাওয়ার জন্য বা প্রেমিককে না পেয়ে, প্রতিশোধ নিতে তার উপর ব্ল্যাক ম্যাজিক করা, এগুলো হচ্ছে পাপ।
আমি জানিনা, আমার উপর কোন ব্ল্যাক ম্যাজিক করেছিলো কিনা কেউ। হয়তো করতেও পারে!
কারণ এরই কিছু দিনের মধ্যে আমি দুনিয়া বিমুখ হতে শুরু করি! আমার রব আল্লাহু তা'য়ালার প্রেম আমাকে এমন ভাবে আঁকড়ে ধরে, আমি যেন আমার রবের জন্য দিওয়ানাই হয়ে যেতে থাকলাম।
দিন যত যেতে থাকলো, তত আমি অনুভব করতে থাকলাম, আমার সাথে আমার রবের কোন এক দূত রয়েছে।
একদিন চট্টগ্রামে অবস্থিত, হাটহাজারী মাদরাসায় চিঠি পাঠালাম, চিঠিতে লিখলাম, ছেলে-মেয়ে একসাথে পড়াই, এতে ইসলামের পর্দার বিধান পালন করা সম্ভব হয় না। তাহলে আমার এ ইনকাম, এ চাকুরী কি হালাল হবে?
উনারা উত্তর দিলেন, না এটি হারাম চাকুরী। আপনি হালাল চাকুরীর জন্য চেষ্টা করুন।
এরপর এতো বেশি নামাজ পড়তে লাগলাম এবং এতো বেশি কুরআন তিলাওয়াত, তাসবীহ্ তাহলিল করতে লাগলাম, দোয়া দরুদ পড়তে লাগলাম, যা স্বাভাবিক ছিলো না।
এরপর একসময় চাকুরী ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে আসলাম।
বাড়িতে তখন আমার বাবার ইনকাম ছিলো না। ভায়ের ইনকামের উপর চলছিলো বাবার সংসার। ফলে আমি বাবা এবং ভায়ের একটা বোঝা হয়ে গেলাম।
বাবা, ভাই, ভাবী এবং বাড়িতে যারা রয়েছে, এঁরা সবাই দেখতে পেলো, আমার মাঝে রবের কোন এক মহাশক্তির উদ্ভব হয়েছে।
এরা সবাই ভয় পেয়ে গেলো। কিন্তু বিষয়টা এখানেও নয়। আসল কথা হচ্ছে আমি তাদের কাউকে মানছিলাম না, বা মানতে পারছিলাম না তখন। তাদের কাউকে যে, আমার নেতা মেনে এবং তার অধীনে থেকে আমল-ইবাদত করে আমি স্বাভাবিক হবো, এটা আমি মানি নাই। কারণ হঠাৎ করে এ অশরীরী মহা শক্তিধর বিষয়টি আমার উপর ভর করায় আমি একটু অস্বাভাবিক ছিলাম।
এখন যেমন আমি আল্লাহু তা'য়ালার নামের দিকে তাকাই, আর একটা রাণীর ছবির দিকে তাকালে আমার স্ত্রী আমার কাছ থেকে উঠে চলে যেতে চায়।
এ রকম তাদেরও অনেকটা স্বার্থ চিন্তা বা আমি নিজকে নিজে রবের অলি খোঁজা অথবা হঠাৎ বিষয়টার উদ্ভব হওয়াতে হয়তো আমি এ রকম করছিলাম।
ভাই বলেন কি ভাবী বলেন, সকলের চোখে-মুখেই দেখতে পেয়েছিলাম, শুধুই তাদের স্বার্থপরতা।
তাছাড়া ইনশা'আল্লাহ আমি আল্লাহর বন্ধু হবো।
তাহলে বাড়িতে আমার অবস্থান হবে কেন!?
আমার অবস্থান হবে মসজিদ কিংবা মাদরাসা কেন্দ্রিক। বা আল্লাহু তা'য়ালার কোন এক অলি কেন্দ্রিক।
আমার বংশে ঐভাবে আমি কোন আল্লাহর অলিকে আমি দেখতে পাইনি।
আর এ অবস্থায়, তাদের কাউকে মান্য করে জীবন চলার মানে হবে হয়তো, শুধু নিজস্ব বংশীয় পূজা ছাড়া আর কিছু না!
তাছাড়া আমিতো শুধু তাদের জন্য দুনিয়াতে আসিনি!
আর এ কারণে এবং এভাবে যখন তাদের কাউকে আমি মানতে পারছিলাম না; তখন তারা আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করলো।
আমাকে খারাপ জেনে হোক, কিংবা ভালো জেনে হোক, আমাকে তাড়ানোর বা হত্যা করার জন্য তারা সবাই মিলে আমার বিরুদ্ধে সব ধরনের শক্তি ও কৌশল প্রয়োগ করতে থাকলো।
এক এক সময় একেবারে হাঁফিয়ে উঠতাম।
আমি একা, আর তারা বাড়ির সবাই। তাদের অত্যাচারে দুইবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমি চট্টগ্রাম চলে গিয়েছিলাম।
এরপরও আত্মীয়-স্বজনকে এতোই মান্য করতাম যে, আমি কখনো এদের বিরুদ্ধচারণ করতে পারছিলাম না।
আর তারাও আমার এ মান্যতার বা প্রতিবাদ না করার সুযোগটি নিয়ে ছোট ভাতিজা থেকে শুরু করে, গ্রামের রিক্সা ওয়ালা ও চায়ের দোকানের মেচিয়ার সহ আমাকে বিভিন্ন ভাবে অপমান করে আমাকে দাবিয়ে রাখার বা হত্যা করার বিভিন্ন অপকৌশল করে যাচ্ছিলো।
এইতো প্রতিবাদ করা শরু করেছি মাত্র ২/৩ বছর হলো।
এ বিষয়ক বিভিন্ন ঘটনা সমূহ আপনারা গুগলে jinmanb.blogspot.com লিখে সার্চ দিয়ে সেখান থেকে পড়ে নিতে পারেন।
আর আমার সাথে থাকা অশরীরী এ বিষয়টি, এটা কি আমার জন্মগত না ব্ল্যাক ম্যাজিক থেকে উৎপত্তি তা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।
আল্লাহু তা'য়ালা মাফ করুক, এ সময়ে মাঝে মাঝে আমি আমার এ অশরীরী বিষয়টির জন্য, আমার সে লজিং হোল্ডারদেরকে দায়ী করে কথা বলেছি।
এটি হয়তো সত্য নাও হতে পারে। আমাকে নিয়ে আমার রবের হয়তো অন্য কোন উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। যার জন্য সকলের নিকট আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার সাথে রবের দূতের এ সম্পর্ক, এ জন্যে তারা হয়তো দায়ী নাও থাকতে পারেন। কারণ তাদেরকে দায়ী করার বিষয়টি ছিলো শুধুই আমার অনুমান আর ধারনা।
(সাঃ) হে আল্লাহ! তুমি আমায় মাফ করো। আমি ভবিষ্যতে তাদেরকে দায়ী করে ইনশা'আল্লাহ আর কিছু বলবো না। (সাঃ)
ভায়েরা, আগে যদি বুঝতাম যে সৌদি আরবে অবস্থিত আল্লাহু তা'য়ালার ঘর কা'বার সাথে আমার এতো নাড়ির সম্পর্ক হবে, আত্মার এতো টান হবে, তাহলে যৌবন বয়সে অনেক গুলো অফার পেয়েছিলাম। তখন আমি অবশ্যই চলে যেতাম।
যাক, এখন আমার একটিই উদ্দেশ্য, আমি কিভাবে আল্লাহু তা'য়ালার বন্ধু হতে পারবো! কিভাবে আল্লাহু তা'য়ালার একজন সত্যিকার অলি হতে পারবো! আর কিভাবে সৌদি আরবের নাগরিক হয়ে মসজিদে হারাম শরীফে নিয়মিত নামাজ পড়তে পারবো!
আল্লাহু তা'য়ালার খাঁটি বান্দা হিসেবে, আল্লাহু তা'য়ালার গোলাম হিসেবে চলতে গিয়ে, মানুষকে উদার ভাবে ভালোবাসতে গিয়ে, মানুষের সেবা করতে গিয়ে আমাকে সীমাহীন ত্যাগ ও দুঃখ-কষ্ট সইতে হচ্ছে এবং চরম ভাবে আমি পাপীও হয়ে গেছি আজ। এবং প্রায় নিঃস্ব জীবন কাটাতে হচ্ছে আমাকে।
জানি না শেষ পর্যন্ত আমার পিউরিটি আমি ধরে রাখতে পারবো কিনা এবং আমার রবকে আমি পাবো কিনা!
সবকিছু লিখতে আসলে মন চাচ্ছে না। কারণ জীবনে মানুষের জন্য চোখে পড়ার মতো কিছু যদি করতেই না পারি, মানুষ আমার সেবা পেয়ে যদি উপকৃতই না হয়, তাহলে আমার এসব পড়বে কে এবং কী লাভ হবে এসব লিখে!
তবুও একটু একটু লিখি। মানুষের জন্য সেবা মূলক কিছু করতে পারলে, তখন বিস্তারিত ভাবে লিখবো।
তো হাইস্কুলে চাকুরী ছেড়ে দেয়ার পর অনেক গুলো চাকুরী ধরেছি এবং অনেক গুলো চাকুরী ছেড়েছি। মান সম্মত একটি চাকুরিও পাইনি।
একসময় চাকুরী বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করলাম ইসলামী সমবায় সমিতি। প্রায় ৬/৭ বছর চালিয়ে ছিলামও।
পরে চেষ্টা করলাম ডিস্ট্রিবিউটেড ব্যবসা করতে এবং হলুদ, মরিছ ও মসলার উৎপাদনমূখী ব্যবসা করতে।
কিন্তু কোন কিছুতেই সফলতা পাই নি।
চেষ্টা করেছিলাম ইউটিউবে কোরআন তিলাওয়াত শিক্ষার একটা কোর্স পরিচালনা করবো এবং ওয়েবসাইট বানিয়ে মানুষকে তথ্যসেবা প্রদান করবো।
কিন্তু দারিদ্রতার কষাঘাতে কোন কিছুই আমার হচ্ছিলো না।
সবচাইতে বেশি আঘাত ও মর্মাহত হয়েছি, আপনজনদের দ্বারা। এদের কেউ আমার একটি কাজেও সাপোর্ট দেয়নি।
সুযোগ পেলে আমি কাল কেয়ামতে হলেও, তাদের নিকট হয়তো জানতে চাইবো, আপনজন হয়েও কেন তারা আমায় সাপোর্ট দেয়নি।
এবং কী লক্ষণ দেখেছিলো যে, আমাকে তাড়াতে, মানে আমার এ অশরীরী বিষয়টিকে তাড়াতে তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলো! আমি প্রকাশিত হলে তাদের কী ক্ষতি হতো বলে তারা মনে করেছে বা আমাকে নিয়ে তাদের ভয় কোথায় ছিলো!
আর এ পর্যন্ত আমি কোন ভালো মানুষও পাইনি।
এর মধ্যে ফেনীর আই সি এস টি (বেসরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট), এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছি প্রায় ১০ বছরের মতো।
এছাড়া এ পর্যন্ত ২টি কাওমি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেছি। ম্যানেজার হিসেবে একটি বড় ধরনের হাসপাতাল পরিচালনা করেছি ও একটি থেরাপি সেন্টার পরিচালনা করেছি।
কিন্তু কোথাও স্থায়ী হতে পারিনি।
আমার একটি সমস্যা, সেটি হচ্ছে আমি দৈত স্বত্ত্বা এবং উচ্চ রেসপনসেবিলিটি নিয়ে চলতে চাই ও সত্যিকার ভাবেই আল্লাহর বন্ধুর মতো সরল-সহজ জীবন-যাপন করতে চাই।
অদ্য ০৬/০১/২০২৫ ইং তারিখে আমার জীবনে কী কী ঘটেছিলো, তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখে আপনাদেরকে তা জানালাম এবং ইনশা'আল্লাহ পরবর্তী সময়ে, মানে ভবিষ্যতে যা ঘটবে তা উপস্থিত ভাবে লিখে জানাবো বলে মনঃস্থির হলাম।
ঐঠজছঠপপনধলপফ সঠনজফফবপফ ষফডছনশল হডঠডঠপশল হডছটধদনজজ ষঠছজটধচপঠজঠছ ফঠপপপঠফডড ডজঠপনপঠফফ
0 Comments