সৈয়দ আরিফ উল্যাহ
In both English and Bengali:
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। Assalamualikum owa rahmatullah.
'এ সমাজে ইয়া নফসি ছাড়া কিছুই করবো না আর; আপনারা সুখে থাকুন।'
'I will do nothing in this society except for my own pleasure; you all should be happy.'
Bengali:
"হে মোর আত্মীয়-স্বজন! সেই ২০০১ খ্রীস্টিয় সন থেকে, আমার ভিতর কী এক ইবলিশি শক্তির উদ্ভব হয়েছে বিবেচনা করে এবং এ জন্য আমাকে ক্ষতিকারক মনেকরে ও তা প্রচার করে, আমার যে কোন উন্নতিতে বাধা দেয়ার ও আমাকে অসহযোগিতা করার, যখন এক নিষ্ঠুর ও অমানবিক সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন এবং এর বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছেন ও এতে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষুৎপিপাসার যন্ত্রণায় আমরা যখন প্রায় মৃত্যু পথযাত্রি হওয়ার পরেও আপনাদের সিদ্ধান্ত ও নিষ্ঠুর কার্যক্রম পাল্টান নাই; যার ফলে আজ আমি নিঃস্বহ, অসহায়, চরম অর্থহীন ও প্রায় ইয়াতিম হয়ে গেছি; তখন এ সমাজে, এ গ্রামে আমিও আর ইয়া নফসি ছাড়া কিছুই করবো না।
আমি পাইনি আপনাদের কাছ থেকে কোন ধরনে দয়া-মায়া, প্রেম-ভালোবাসা আর হৃদয়! পেয়েছি শুধু স্বার্থপরতা, হিংসা, শত্রুতা আর মানুষে মানুষে ভেধাভেদ।
খাদ্য-বস্ত্রের অভাবে আমার যখন প্রায় প্রাণ ওষ্ঠাগত, তখনও আপনাদের যখন কারো হৃদয় গলেনি, তখনো আপনারা আমার কাছ থেকে পেতে চেয়েছেন শুধু নিজ স্বার্থ! নিজ সম্মান!
বাস্তবতা এ রকম যে, ধরুন, আপনারা আমার ঘরে, বাড়িতে, সমাজে, দোকান-পাঠে কিংবা অন্য কোথাও দু-চার জন লোক আপনাদের জ্ঞান অনুযায়ী ধারনা করে আমাকে ভূল বুঝে ছিলেন এবং এরপর সে ভূল ম্যাসেজটি আপনারা ছড়িয়ে দিয়েছেন চারদিকে, ফলে আমার প্রাণ প্রিয় সন্তানদের সাথে আমার ব্যবহারে কেমন ভাবে আমি অপমানিত হয়েছি! এবং হচ্ছি! পাইনি নিজ বউ এর ভালো ব্যবহার! নিজের ঘর হয়েছিলো প্রায় জাহান্নামের মতো! বন্ধু-বান্ধব হয়েছিলো পর! যেখানে গিয়েছি সেখানেই মানুষ আমার সাথে ভালো ব্যবহার করেনি, ভূল বুঝেছে! অথচ মূলে আমার বিরুদ্ধে আপনাদের ম্যাসেজটিই ছিলো ভূল! আর এ ভূল ম্যাসেজটিকে আপনারা সত্য মনে করেছেন প্রথমত শুধু আপনাদের অনুমান ধারনা করে ও বেশি জ্ঞানীর পরিচয় দিয়ে এবং পরবর্তীতে অন্যান্যরা করেছেন শুধু শুনে শুনে। আর এতে আমি হয়েছিলাম প্রচন্ড প্রকারের জুলুমের শীকার এবং এখনো হচ্ছি বা হয়ে চলেছি। আর আপনাদের মাঝে আমি হয়েছিলাম মিথ্যে অযোগ্য ও মজলুম! এবং এ কবীরা গুনাহ্ আপনারা অব্যাহত ভাবে করেই চলেছেন।
আপনাদেরকে দু'একটি প্রশ্ন করি; আরেক জনের সংসার ও জীবন নিয়ে এতো সম্পৃক্ততা, এটা আপনাদের জায়েজ হয়েছিলো বা হচ্ছে কিনা? আরেকজনের বউকে প্ররোচিত করে, তাদের সংসারে অশান্তি আনয়ন ও স্বামীকে কষ্ট দেয়া এটা কতটুকু জায়েজ হচ্ছে বা হয়েছিলো? বউ এর উপর স্বামীর হুকুম পালন ও স্বামীর হক সমূহ যথাযথ আদায় এটি ওয়াজিব(?), না শান্তি ও উন্নতির স্বার্থে স্বামীকে অমান্য করে, স্বামীর হক সমূহ থেকে তাকে বঞ্চিত করে এবং এর বিপরীতে বাড়ির অন্যান্য লোকজনের সাথে তাদের কথা মতো চলাটা ওয়াজিব ছিলো? শান্তি ও উন্নতি কিসে(?); স্বামীকে মান্যতায়(?), না বাড়ির লোকজনদেরকে মান্যতায়? সব মিলিয়ে মানুষ মানুষের জন্য(?); না মানুষ, মানুষের ভিতরে থাকা আসমানি কারোর জন্য? আসলে আপনারা কী চান(?); মানুষ, না অর্থ সম্পদ।
আপনাদের ব্যবহারে এটি প্রমাণিত হয় যে, আপনারা আসলে মানুষ চান না, চান শুধু অর্থ-সম্পদ। কারণ মানুষ চাইলে, আপনারা এভাবে আমাকে কষ্টের পর কষ্ট দিয়ে, আমার ভিতরে থাকা আসমানী কাউকে চাইতেন না! আপনাদের দৃষ্টি বড়ই হিংসুক, স্বার্থপর ও লোলুপ! যেহেতু আপনারা আসমানি কাউকেও চান শুধুমাত্র অর্থ-সম্পদ আর শুধুমাত্র দুনিয়াবি শান্তির উদ্দেশ্যে! কী, আমি মিথ্যে বলেছি?
আপনাদের জ্ঞান, লোভ, হিংসা, সম্মান আহরণ ও অর্থপ্রীতি, স্বার্থপরতা আর অহংকারের প্রশংসা না করে পারি না; যেহেতু এসব প্রশ্নের স্বাপেক্ষে আপনারা আমাকে অযোগ্য হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। আপনাদের সমাজে আপনাদের ইসলাম আজ এ রকম। কারণ অনেকেইতো আমার সাথে আপনাদের এসব ব্যবহার নাজায়েজ মনে করে করেননি, তাই না!?
সুতরাং যেহেতু আপনাদের শুধু যোগ্যলোক প্রয়োজন, শুধু আপন স্বার্থ প্রয়োজন, তাই আপনাদেরকে ছেড়ে আমি যদি কোথাও চলে যাই বা অন্যগ্রামে চলে যাই, তখন, সুখে থাকবেন তো আপনারা(?), হে মোর আপনজন ও প্রিয় গোবিন্দপুরবাসির পরিচিত জনেরা!?
অবশ্য এখন আপনাদের পাশ্ববর্তী গ্রামের উত্তর চাঁদপুর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রঃ) মাদরাসায় খেদমত নিয়েছি। দেখিয়েন সেখানেও কোন ভৃল-ভাল ম্যাসেজ পাঠিয়ে আমার দয়ালু সুপার হুজুরকে বা অন্যান্যদেরকেও আমার বিরুদ্ধে ভূল বুঝায়ে দিয়েন না! যেহেতু আমি থাকি গোর গোবিন্দের গ্রামে, মানে এ গ্রামে। আর আমাকে বেশি ভূল বুঝে ও সেই হেতু আমার সাথে বেশি খারাপ ব্যবহার করে মাদরাসার হিসাব কিতাব পরিচালনা ও পাঠ দানে আমার বিরুদ্ধে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বা উত্তর চাঁদপুর বাসীর নিকট আমাকে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি ও আমার ব্রেনগত জটিলতার সৃষ্টি করবেন না। যেহেতু এ মাদরাসায় আমি থাকতে চাই।
এতোদিন, মানে প্রায় সু-দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আমার আমল আখলাক, কোরআন তিলাওয়াত, নামাজ-জিকিরের কোন মূল্যায়ন আপনাদের নিকট আমি পাইনি; পেয়েছি শুধু তামাসা চাওয়া-চাওয়ি; অপমান আর অবমূল্যায়ন। যেহেতু আপনাদের কাছে পাইনি; তাই, বাহিরের লোকের কাছেও পাইনি বা পাবো না।
আপনাদেরকে ভালোকরে স্মরণ রাখার জন্য বলতে চাই যে, আমার এ বউয়ের কাছে, আমার এ বাড়িতে, আমার এ গ্রামে, আমি ছিলাম এদের সকলের নিকট, সীমাহীন অযোগ্য, মূল্যহীন, পদদলীত, নিপীড়িত ও অসম্মানী একজন মানুষ।
শুনেন, অনেকটা স্বার্থপরতার কারণে, আমার দ্বারা মানুষের ক্ষতি হবে মনে করে, আমার আত্মীয়-স্বজন (বড় ভাই, ভাবী, ভাতিজা ও বাড়ির লোকজন) নিষ্ঠুর ভাবে আমায় আঁটকালো, আর এলাকাবাসির প্রায় সবাই তাদের কথা মতোই আমল করলো; এতে আমি তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারিনি বা পারিনা বা পারবো না, আল্লাহকে পাবো না বলে!! আল্লাহর অলি হতে চেয়ে!! যেহেতু তারা আত্মীয় স্বজন!যেহেতু ইসলামে আত্মীয় স্বজনের শৃঙ্খল এ রকমই!! নিজ রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়গণ যেটি চায় না বা বাধা প্রদান করতে প্রস্তুত; রক্ত সম্পর্কিত কোন মুমেন আত্মীয়, ঐ আত্মীয়দের নিকটে থেকে সেটি পারবে না; এটিই আত্মীয়তার ইসলামিক শৃঙ্খল।
এতোদিন আমি বুঝিনি যে, আমাকে দাবিয়ে রেখেছেন আমার আপনজনেরাই! আমাকে আঁটকিয়ে রেখেছেন তারাই! সমাজে আমার বিরুদ্ধে আমার অযোগ্যতা প্রচার মূলক নেতিবাচক কথার মূল উৎপত্তি আমার নিজ বংশ থেকেই এবং আমি নাকি আমার বড় ভাই ও আত্মীয়দেরকে মানি না, তাদের সাথে সম্মান সূচক কথা বলি না ও তাদের সাথে ঘাড় তেড়া মূলক বড়লোকি ব্যবহার করি; এ মিথ্যে ও বানোয়াট কথা গুলোর মূল উৎপত্তি আমার বড় ভাই, তাদের দোসর ও এলাকার কিছু লোকের অনুমান আর ধারনা আর অপপ্রচার থেকেই।
আবার আমাকে দাবিয়ে বা আঁটকিয়ে রাখার পিছনে তাদের যে সিদ্ধান্ত, তা অনেকটা অলৌকিক ভাবেও অথবা অলৌকিক কারণেও হতে পারে। তারা আমার বিরুদ্ধে না বুঝেও এ ভূল সিদ্ধান্তটি নিতে পারেন বটে!!
তবে এটা সত্য যে, আমাকে আঁটকিয়েছেন তারা দুনিয়া প্রীতির কারণে; আর আমি তাদের কোন ক্ষতি করতে পারিনা বা ক্ষতি করার চিন্তাও করতে পারি না, আখেরাতের ভয়ে বা আল্লাহকে না পাওয়ার ভয়ে।
কিন্তু এটি আসলে কী কারণে, আমি কিন্তু তা বুঝিনি এখনো ঠিক ভাবে!
তবে মানুষের মাঝে অর্থ, ক্ষমতা আর স্বার্থপ্রীতী ছাড়া; ভালোবাসা, দয়া-মায়া, আর বিশ্বাস যে প্রায় নেই; তা কিন্তু ঠিকই বুঝেছি!!
আমার ভিতর এমন কী শক্তি দেখেছেন যে তারা, আমি জগতের ক্ষতি করতে পারি এমন! সে শক্তিটি আসলে কী এবং সেটি এখন কোথায় গেছে!! না হয় এমন কেন তাদের সিদ্ধান্ত!! একজন মানুষ কিভাবে এতোজনের ক্ষতি করতে পারে?
আজ আমিতো প্রায় শেষ। তাই আজকের পর থেকে এ বিষয়ে আমার এতো বড় বড় পোস্টও হয়তো আর দেখবেন না।
একটা টিউশনিও যদি ধরতে যাই, সেখানেও দেখি আমার বদনামি চলে যায় আগে। ফলে আমি টিউশনিটিও পাই না আর!
এই, আপনারা কি, আমার ও আমার পরিবারের জন্য কৃত্রিম খাদ্য-বস্ত্রের অভাব তৈরী করে আমাদেরকে মেরে ফেলতে চান? না ভিক্ষুক আর পাগল সাজিয়ে রাখতে চান এ সমাজে?
এই যে একটা মেধার অবমূল্যায়ন বা হত্যা করছেন বা করেছেন অথবা একটা পুঞ্জিভূত শক্তিকে হত্যা করেছেন বা হত্যা করতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন; এর পিছনে মূল দায়ী কিন্তু আপনারা।
একটু বিবেচনা করুন, এভাবে মনোমাল্লিণ্য করে থাকার, আমাকে বাধা দেয়ার বিষয়টি অব্যাহত রাখার আর সময় নেই, না হয় পরে আল্লাহু তা'য়ালা ও বিশ্ববাসির নিকট থেকে এর দায়ভার কিছুতেই এড়াতে পারবেন বলে মনে হয় না।
আমিতো ঠিকই জানি যে, এই আমি যদি কোন ভাবে না কোন ভাবে ধনী হতে পারি; তাহলে আপনারাই আমায় বুকে টেনে নিবেন সবার আগে। সবার আগে আপনারাই দাবী করবেন যে, এসো ভাই, এসো প্রতিবেশী, এসো মোদের বুকে! তখন আপনারাই হতে চাইবেন আমার পরম বন্ধু!
কিন্তু আমায় মেনে নিতে, মূল্যায়ন করতে, আপনারা করেছেনটা কী? তবে তখন আপনাদের এ অধীকার বা গলা ফুলিয়ে আনন্দ প্রকাশের সে হক কি আপনাদের থাকবে? বা আছে?
তাহলে প্লিজ আমায় আর আঁটকাবেন না! প্লিজ, এবার আমার জন্য দোয়া করুন! দয়া করে আমার বদনামি আর ছড়াবেন না! এ বিষয়ে সজাগ হোন! বিশেষ করে বাড়ির এবং সমাজের শিশু, বালক এবং বোকা শ্রেণীর মানুষদের বিষয়ে সজাগ হোন! আমি যা করি বা করতে চাই, এতে সাপোর্ট দিন। সমর্থন দিন। এবং নিজেরা অংশগ্রহণ করুন। আমার ভালোগুণ ছড়ান। যাতে সম্মানের সহিত ধার্মিক বেসে চলতে পারি। সমাজে আপনাদের সম্মান রক্ষার্থেই এটি করুন। আমায় আগে মেনে নিন, সম্মানের আসনে বসান, সম্মান করুন; তারপর আমার কাছ থেকে পেতে চান!
সকলে মনেরাখুন কথার কথা আপনারা যদি আমায় দশ টাকা দেন, তবে দশ টাকা দিয়ে আমি আপনাদের জন্য আলু আধা কেজি ছাড়া আর কিছুই আনতে পারবো না, তাই দশ টাকা দিয়ে কখনো আমার দ্বারা ইলিশ মাছ আনার স্বপ্ন দেখবেন না বা দেখতে চাইবেন না বা আবেদন করবেন না।
ইনশা'আল্লাহ আমার বিষয়ে আপনাদেরকে নিয়ে হয়তো, এটিই আমার শেষ পোস্ট!"
হে মোর আত্মীয়! আপনাদের রিলেশনশীপ এবং তথা কথিত সামাজিক জ্ঞানী-গুণী, সমাজ হিতৌষী ও পরোপকারী ভাই ও বোনেরা!
সেই ২০০১ সনে আল্লাহর কোন এক ইশারায় আমি মানসিক ভাবে পরিবর্তীত হয়ে শুধু আল্লাহু তা'য়ালার দিকে ধাবিত হতে থাকি।
অলৌকিক ভাবে একটা সঞ্চিত শক্তি আমার ভিতর পুঞ্জিভূত হয় এবং আমার কথা-বার্তা, আমল-ইবাদত, ইশারা-ইঙ্গিত, ভাব-ভঙ্গিমা ও শারীরিক-মানসিক বিভিন্ন উপস্বর্গ প্রকাশের মাধ্যমে যা প্রকাশিত হতে থাকে।
কুরআন তিলাওয়াত, নামাজ, জিকির-আযকার এগুলোতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে থাকি। এবং সাথে সাথে অন্য মানুষদের চাইতে আমার আচরণ ভিন্ন হতে থাকে।
আপনারা এ অশরীরী শক্তি উদ্ভবের শুরুতেই এবং অনেকটা দেখামাত্রই এটাকে আমার জন্য, আপনাদের এবং মনূষ্য সমাজের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে সাব্যস্ত করেন এবং এ হতে রক্ষা পেতে হলে একে বদ বা হত্যা করতে হবে অথবা তাড়িয়ে দিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেন।
এবং আপনাদের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে, বিভিন্ন তাবিজ-কবজ, গুণিন-বদ্য, ডাক্তার কবিরাজ এদের মাধ্যমে চেষ্টা চালান। অথচ আমি কুরআন তিলাওয়াত করতাম। ইত্যাদি ইবাদতে মশগুল থাকতে চাইতাম বেশি বেশি। আপনারা এর কোন মূল্য, মান, মর্যাদাতো দিলেনই না। উল্টো আমাকে ক্ষতিকারক সাব্যস্ত করে, আমাকে তাড়াতে যেন উঠে পড়ে লাগলেন।
কিন্তু কোন ভাবে আমার এ জ্বীন বা অশরীরী বিষয় বা শক্তিটিকে তাড়াতে না পেরে, পরবর্তী যে কোন সময়ে আমাকে সর্ব দিক দিয়ে দূর্বল করে রাখার, নিষ্পেশিত করে রাখার, দাবিয়ে রাখার, নিষ্ঠুর ও নির্মম এক সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। যাতে আমার এ অশরীরী শক্তিটি আপনাদের বা অন্য কারো ক্ষতি করতে না পারে বা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
এবং আমার বিভিন্ন সম্মানজনক কাজে আমাকে অসহযোগিতা ও বাধা প্রদান করে এর বাস্তবায়নও ঘটাতে থাকেন এবং এখনো যা অব্যাহত রেখেছেন।
আপনাদের এ সিদ্ধান্ত কতটুকু যুক্তিযুক্ত ছিলো আমি তা জানি না।
যেহেতু আপনারা আমায় এ অদৃশ্য শক্তিকে নেগেটিভ হিসেবে সাব্যস্ত করলেন এবং নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমায় বিবেচনা করতেন এবং অনেকে এখনো করেন, তাই আমিও বা কী এক অজানা কারণে যেন অথবা আপনাদের কাউকে কাউকে দেখতে আমার কাছে দৃষ্টিকটু বা শ্রুতিকটু বা কর্কশ ভাষার শ্রুতিবান মনে হওয়ায় বা রব জানে এ রকম অজানা কোন কারণে তখন বিভিন্ন ভাব-ভঙ্গিমার মাধ্যমে আমি আপনাদের বিরোধিতা করি।
আগে আপনারা আমায় ক্ষতিকারক সাব্যস্ত করেছেন এবং আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরম্ভ করেছেন, পরে আমি আপনাদের বিরুদ্ধে আমার অবচেতন মনে অবস্থান নিয়েছি।
যেখানে আপনারা আমায় নেগেটিভ ভাবে দেখলেন, তাহলে সেখানে আমি আপনাদেরকে পজিটিভলি কিভাবে দেখবো বলেন?
এতে আপনারাও শুরু করলেন, আমার সাথে প্রকাশ্য এক মানসিক বা স্নায়ু যুদ্ধ।
শুরু হয়েছিলো শব্দের বিপরীত শব্দের এবং কথার বিপরীত কথার যুদ্ধ। ইত্যাদি।
এ যুদ্ধ এতোটাই চরম পর্যায়ে উঠেছিলো যে, সহ্য করতে না পেরে আমি কয়েকবার বাড়ি থেকেও বেরিয়ে গিয়েছিলাম।
বিয়ের পর আপনারা আমার বউকেও বোঝালেন বিষয়টি, ফলে সেও দুনিয়ার টানে এবং আপনাদের গ্রুপিং নির্ভর ভয়ের কারণে আমাকে দূর্বল থেকে দূর্বলতর করে রাখার সংগ্রামে ব্রত হলো ও আমাকে নেগেটিভ দৃষ্টিতে বিবেচনা করতে থাকলো। অর্থাৎ বউ আমার হলেও, আমিই যেন বউ হয়ে রইলাম তার কাছে। সেও যেন আমার প্রতিপক্ষ হয়ে গেলো। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝেই শুরু হলো পাটাপাটি। তর্কা-তর্কি এবং ঝগড়া-ঝাটি। আপনারা এটি দেখতেন, শুনতেন এবং এতে আপনারা সুখ অনুভব করতেন! সবসময় আপনারা, আমার বাড়ির লোকজনেরা আমার বউকে লাই দিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে উষ্কানি দিয়েছেন; ফলে আমায় পাগল সাব্যস্ত করতে ইস্যু পেয়েছেন। আর মানুষের কাছে সাধু সাজতে আপনাদের অনেক সুবিধা হয়েছিলো।
আবার আমার জন্য আরো মহা কষ্টের আর অপমানের ছিলো, আমি বিষয়টি বুঝতাম না! আমি বউকে ভালোভাসতাম; আর সে আমার সাথে অভিনয় করতো! ঠিক কী কারণে এ রকম করতো; আমি তা বুঝতাম না। বরং আমার ভালোবাসার কোন মূল্য সে দিতো না। বরং আপনাদেরকে সমীহ্ করে চলতো এবং আপনাদের প্রশংসা কুড়াতো! আর আমার সাথে করতো ছলনা। আপনাদের মনের এ দূর্বিসন্ধী আমি বুঝতাম না! আমি শুধু আপনাদেরকে শ্রদ্ধা করতাম আর ভালোবাসতাম।
সময়টা অনেকটাই কষ্টে গিয়েছিলো আমার! আপনাদের প্রতি আমার ভালোবাসার এতোই প্রাবাল্য ছিলো যে, আপনারা বা আমার বউ, আমার সাথে কেন এমনটি করছে, সে চিন্তাও আমার মাথায় ঢ়ুকেনি। শুধু অপমান আর অবহেলা এবং সীমাহীন কষ্টই সহ্য করে যাচ্ছিলাম।
আর তাই বউকেও আমি অনেক সময় বকেছি; তার সাথেও আমার ঝগড়া ঝাট্টি হয়েছে বা সহ্যের পর সহ্য করেছি। আর আপনারা তা শুনে ও দেখে শুধু মুচকি মুচকি হাসতেন।
একটা মানুষকে কষ্টের পর কষ্ট দিতেন, আর আপনারা এতে আনন্দ পেতেন!
হে মানুষেরা এটি কেন ঘটেছিলো জানেন (?), এ মানুষটি (মানে আমি) শুধু এদেরকে সমীহ্ করেনি, কোন্ এক অজানা শক্তির প্রভাবে এবনরমালি সে এদের নিকট মাথা নত করে চলতে চায়নি! শুধু এতেই তার আত্মীয়তার সম্পর্কতো ছিন্ন হলো হলো; বরং কিভাবে তাকে আঁটকানো যায়; ভবিষ্যত জীবনে কিভাবে তাকে দাবিয়ে দূর্বল ও মূল্যহীন করে রাখা যায়, সুস্থ মস্তিষ্কে স্বজ্ঞানে সবাই মিলে করলেন, এ সিদ্ধান্ত! ভায়েরা আমার! আপনাদের কাছে আত্মীয়তার সম্পর্ক কি তাহলে শুধু এ পর্যন্ত!? চোখের আর আঙ্গুলের ইশারা আর কিছু অনুমান ধারনাতেই কি আপনাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়?
সব মিলিয়ে একটা পরিবারকে কতটুকু নাজেহাল করেছেন আপনারা, বলতে পারেন? কী ছিলো আমার দোষ? আমি শুধু আপনাদের সমীহ্ করিনি! মানিনি আপনাদের কাউকে। এবং যা এবনরমালী! এ জন্য আপনাদের দয়া-মায়া, আত্মীয় হিসেবে আমার হক, সব গিয়েছিলো উবে!
আর আল্লাহর অশেষ এক রহমতে আমাদের সংসার থেকেছিলো টিকে! এবং এখনো আছে। এবং থাকবে চিরকাল ইনশা'আল্লাহ!
আপনাদের পক্ষ থেকে সমাজেও আমাকে নেগেটিভ হিসেবে পরিচয় দেয়ায়, অযোগ্য-রুগী হিসেবে পরিচয় দেয়ায়; তাছাড়া অনেকে এটাকে জ্বীন মনে করায় এবং জ্বীন মানেই খারাপ তাদের এ দৃঢ় আইডিয়া হওয়ায়, সমাজের মধ্যেও আমি প্রায় সবার কাছে খারাপ বলেই বিবেচিত হই।
এরপর বাবার জমি বিক্রয়, আমার ব্যবসা আরম্ভ ও ঘর দেয়া ইত্যাদি কারণে আমার ভাইদের মধ্যে জন্ম নেয় হিংসা ও শত্রুতার।
যা সমাজের অনেকে বুঝতোও না। তারা শুধু একক ভাবে আমাকেই দোষারোপ করে গিয়েছিলো। এবং সকলে আমার প্রতি মানহানিকর মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি নিবদ্ধ করতো। ফলে মানুষেরা আমার সাথে অপমানজনক ব্যবহারই করে চলছিলো।
যেহেতু তারা বড় ভাই বা আত্মীয়-স্বজন হওয়ায় সকলে প্রায় মুখস্ত ভাবে আমাকেই দোষারোপ করে চলেছিলো এবং এখনো করছে।
'সকলের কথা শুধু একটাই। ছোট ভাই কিভাবে বড় ভাই, ভাবীদের বিরোধিতা করে চলে। অথচ আমি তাদের কারো বিরোধিতা করিনি। এমনকি কোথাও তাদের বিরুদ্ধে টু শব্দটিও করিনি। হ্যাঁ, দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরের উপরে সহ্য করার পর মানুষকে সঠিক অবস্থাটি জানাতে, আমি শুধু এর প্রতিবাদ করেছিলাম মাত্র।
আজ দীর্ঘ দিনের ব্যবধানে অনেকের কিছু কিছু বুঝে ধরলেও আজো অনেকেই আমাকে বুঝে না এবং সেই আগের মতোই এর ক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে আমার উপর।
এবং আমাকে হেয়, খাটো ও অসম্মানিত করে রাখার এক ধরনের মনস্তাত্বিক ও সামাজিক রোশানল আমার বিরুদ্ধে ঘরে, বাড়িতে এবং সমাজে; সর্বত্র ধাবিত হতে থাকছে এবং যা এখনো হচ্ছে।
ফলে আমার ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র যত উন্নতই হোক এবং আমি যত সুন্দর কোরআন তিলাওয়াত আর নামাজ-কালাম করি না কেন, এগুলো আপনাদের দৃষ্টিতে কখনো ভালো বিবেচিত হয়নি এবং এখনো হচ্ছে না। বরং আমার টাকা এবং পদবী না থাকায়, আমার ভালোকিছুকেও আপনারা শুধু তামাসাই দেখেছিলেন, কখনো ভালো হিসেবে মূল্যায়নও করতে পারেননি, প্রচারও করতে পারেননি! বা স্বার্থের কারণেও করেননি!
যার ফলে আমি মসজিদে কুরআন তিলাওয়াত, লম্বা নামাজ, রমজানে ইতেক্বাফ, এক্বামত দিতে এগিয়ে যাওয়া এসব বন্ধ করে দিয়েছি প্রায়।
কারণ আপনারা সম্মান না করে উল্টো শুধু তামাসা চান, এসব সম্মানিত বিষয় গুলোর। আমি এক্বামত দিতে গেলেও দেখি, আরেকজন তেড়ে এসে শুরু করে দেয় এক্বামত। যার ফলে প্রমাণিত হয়, ভালো কাজগুলোও আপনারা আজ বাহুবলে করছেন। যার ফলে আমাকেও হয়তো মোড়ল হতে চাচ্ছি বা মোড়ল বলে মনে করছিলেন আমাকে। ঠিক আপনাদের মতো করে! কারণ যে যেমন কারেক্টারের, তার চিন্তা-ভাবনা আর ভাষাও বেরুবে, ঠিক তেমনই প্রকারের।
আপনারা সাজিয়ে রেখেছেন আমায় সমাজের ভৃত্য। তাহলে, আপনাদের সমাজে আমি কেমন করে রাজার সেবা দিবো? আপনাদের রুলস অনুযায়ী আপনাদের প্রতিষ্ঠান সমূহে আমায় চাকুরী দিবেন ক্লার্ক বা জুনিয়র শিক্ষকের; আর পরীক্ষা নিবেন বা আশা করবে প্রিন্সিবলের সার্ভিসের? যা বেতন দিবেন, নির্ধারিত যে কর্ম দিবেন, সে অনুযায়ী আশা করবেন। শুনেন, ধরুন, আমায় দিলেন দশ টাকা, তাহলে আমি এ দশ টাকা দিয়ে আপনাদের জন্য বড় জোর মুড়িও একপোয়া আনতে পারবো না; তাহলে সে ক্ষেত্রে আমি গরুর গোস্ত কিভাবে আনবো?
এবং আনতে পারার কোন যুক্তিও নাই। তাহলে আপনারাই চিন্তা করেন, আমাকে আপনারা কেমন মূল্যায়ন করেন! এবং এর বিপরীতে আমার নিকট থেকে কেমন প্রতিফল পাওয়ার অধিকার রাখেন!?
জানি না আপনাদের এ মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি আর কতকাল এভাবে অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়গুলো এ সমাজের প্রায় সকলেরই জানা বিধায়, আমি আর এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখলাম না।
আপনাদের আমাকে দাবিয়ে রাখার এ সিদ্ধান্তের কথা আমার নলেজে ঐ ভাবে না থাকায় এবং আমি অত্যধীক উদার হওয়ায়, আমি আপনাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সু-দীর্ঘ সময় বুঝতেই পারছিলাম না। এ বিষয়ে আমার একটু একটু বুঝ হয়েছে গত ৪ বছর ধরে এবং এ সময় ধরেই আমি আমার আত্মীয়ের এবং তাদের সামাজিক দোসরদের কৃতকর্মের প্রতিবাদ করি। তাও সেটা আমার মতো করে, নরমালি ও যুক্তিযুক্ত ভাবে।
আমি নিজকে বোঝাতেই পারছিলাম না যে, আপনজনেরা তাদের স্বার্থে, মানে শুধুই দুনিয়া প্রাপ্তির জন্যে; তাদেরই আরেকজন আপনজনের জন্য এ রকম নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত নিতে পারে ও তা বাস্তবায়ন করতে পারে।
যাক, আজকের এ দিনেও, মানে আমি মানসিক ভাবে পরিবর্তীত হওয়ার আজ ২৪ বছর পরেও, রাস্তায় চলতে যদি হাত নেড়ে, প্রিলি ভাবে বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলতে চাই; তখন আমার দেশের বালক শ্রেণীর ছেলেগুলাও আমাকে তাদের কাশি শুনায়।
তাই যখন আমার নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব আপনারা মানবেনইনা, যখন আমার কোরআন তিলাওয়াত, নামাজ ইত্যাদিকে সম্মানের চোখে দেখবেনই না; তখন আমিও অন্তত গোবিন্দপুরবাসীর জন্য এসব বাদ দিলাম।
এখানে আমার আত্মীয়-স্বজন সহ সবাইকে একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, দেখেন আপনারা সবাই আমাকে বয়কট করেছেন, পদদলিত করে রেখেছেন এবং রাখছেন, আমি আপনাদের ক্ষতি করবো বা করতে পারি, শুধু এ অনুমান ও ধারনা করে।
আমি জানি, আমাকে দেখতে না পারার পিছনে, আমার কাছে যে, মানুষ টাকা পাবে, সেটিও একটি যুক্তিযুক্ত কারণ। তাই আমি এ টাকা পরিশোধ করার আগ পর্যন্ত আর আপনাদের এ সমাজে, এ গোবিন্দপুর গ্রামে, নেতৃত্ব প্রদান মূলক কোন কাজই করবো না। শুধু ইয়া নফসি করবো।
এ গ্রামে আপনাদের মানিজ্জত যাবে বলে, আপনারা অনেকে আমার সাথে কথা বলতে চান না, আমার সাথে হাঁটতে চান না।
আমি আপনার সমান নয় বলে, আমার ফোন কেটে দেন। কোন দায়িত্বপূর্ণ পদবীতে নেই বিধায়, সামান্য একটু ফ্রেসনেস ভাবে কথা বলবো, তাও আপনি বা আপনারা মেনে নেন না।
লম্বা নামাজ পড়বো, শুদ্ধ ও সুন্দর ভাবে কুরআন তিলাওয়াত করবো, রমজানে এত্বেকাফ করবো; কিছুই আপনারা সম্মানের সহিত দেখেন না।
আপনাদের কথা হলো, আমি মাদরাসায় পড়ি নাই; আমার সার্টিফিকেট নাই; আমিতো আলেম নই, আমি জ্বীন ওয়ালা অথবা মানসিক রুগী! সুতরাং আমার এ অধিকার নাই।
তাহলে, এমন একটি পরিস্থিতিতে আমি যদি কোনদিকে চলে যাই, তাহলে আশা করি আপনারা ভালো থাকবেন। খুশি হবেন। আমি মিথ্যা না বললে, তাহলে দয়া করে আপনাদের মনোভাব ব্যক্ত করবেন।
তবে এটা সত্য যে, আমি আর কোন ধরনের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বময় কাজ বা কোন দায়িত্ব আমার নিজ বাড়িতে এবং এ গোবিন্দপুর গ্রামে নিবো না বা করবো না।
এবং আমি যখন আপনাদের নিকট যোগ্য লোক নই, তখন মুয়াজ্জিন যখন থাকবে না, তখন একামত দিতেও আমি আর হয়তো এগিয়ে যাবো না।
আমাকে নিয়ে এতো সন্দেহের, এতো ভয়ের আপনাদের আর প্রয়োজন নেই। আলহামদুলিল্লাহ! এ পর্যন্তও আপনাদের কারো ক্ষতি করিনি, শুধুমাত্র আপনারা যারা এখনো আমার নিকট সমিতির সঞ্চয় পাবেন তারা ব্যতীত।
ইনশা'আল্লাহ! এখন থেকে আমার দ্বারা আপনাদের কারো ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভবনাই নেই!
কারণ এ গ্রামে আমি আর সবার আগে মসজিদে যাবো না, এত্বেকাফ করবো না, হুজুর না থাকলে নামাজ পড়াবো না, ইকামত দিবো না, সমাজসেবা মূলক কোন কর্ম আমি করবো না, এ ধরনের কোন কাজে আমি নেতৃত্ব দেবো না।
যেহেতু এ পর্যন্ত আমার একটা পোস্ট কেউ শেয়ার করে উপযুক্ত জায়গায় আমাকে প্রেরণ করেননি, আমাকে পরিচিত করলে আমি আপনাদের চাইতে হয়তো আরো বেশি মোড়ল হয়ে যাবো, এই ভেবে বা অন্য যে কারণেই হোক, উপরুন্ত যে কারণেই হোক, আমি কোরআন তিলাওয়াত শিক্ষা দিচ্ছিলাম, এমন একটি ভিড়িও পর্যন্ত, আমার নিজ ভাতিজার কাছে আমি শেয়ার করলে, সে বললো যে, নেক্সটাইম তার কাছে এ ধরনের কোন ভিড়িও যেন আর শেয়ার না করি; আমি আপনাদের নিকট এতোই খারাপ যে, আমার সাইডগুলো ধরতে আপনাদের মান হানি হয়; আমার সাথে অনলাইনে সম্পর্ক রাখতে আপনাদের মান চলে যায়। সুতরাং এখন থেকে এ গোবিন্দপুর গ্রামের কেউ বা আমার আত্মীয়দের কেউ আমার অনলাইন কোন প্ল্যাটফর্মে এড হবেন না। এটা আমার কড়া নিষেধ। আমার কোন ভিডিও, ওডিও বা টেক্সট শেয়ার করা থেকে আপনারা বিরত থাকবেন। আমি অনেকগুলো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম খুলেছিলাম। আশা ছিলো আপনারা আমায় বিশ্ববাসীর জ্ঞানীদের নজরে আনবেন, কিন্তু আপনারা আমার ভিতর অলৌকিক কিছু বুঝার পরেও, আজ যেহেতু আমার বয়স প্রায় ৪৮ বছর, এবং এ বয়স পর্যন্তও যখন আপনারা কেউ আমার কোন পোস্ট পড়েন না, ভিডিও দিলে দেখেন না; তাই আমার ঠিকই বুঝে ধরেছে যে, আপনাদেরকে দিয়ে আমার হবে না।
যদি সম্ভব হয়, ইনশা'আল্লাহ অন্য গ্রামে গিয়ে বা বিশ্বের অন্য কোথাও গিয়ে মানব সেবা করবো বা বিজ্ঞান চর্চা করবো বা বিবিধ ভাবে আল্লাহু তায়ালার ইবাদত করবো।
আমি এখানে সবচাইতে বেশি যাকে শ্রদ্ধা করি, সেই মুফতি সাব হুজুরের কাছে যখন আমি ভাত-কাপড়ে মরতে বসে গিয়েছিলাম একটা চাকুরীর আশায়, তখন তিনিও বললেন, আমি যেন ফেসবুক-ইউটিউব এগুলো যাতে বন্ধ করে তারপর তাঁর কাছে যাই।
আর তাই আমিও হুজুরকে কথা দিচ্ছি, আমি যথা সম্ভব, এগুলো বাদ দিয়ে দিবো। হয়তো সহসাই বন্ধ করে দেবো আমার ওয়েব সাইট।
আর আমার বাড়ির লোকজন, আত্মীয়স্বজন ও এ গোবিন্দপুর গ্রামের মানুষগণের প্রতি এ বিষয়ে আমার বক্তব্য হচ্ছে, আপনারা অনলাইনের কোথাও আমাকে সার্চ দিবেন না এবং আমার কোন অনলাইন লিংক আমার কাছে চাইবেন না। আপনারা যদি আমার পোস্ট সমূহ লাইক-শেয়ার করতেন, তাহলে আমি হয়তো এ ভাবে ভাতে মরতাম না।
এবং যখন, যেখানেই থাকি না কেন আমার সাথে যোগাযোগ করার, আমাকে আপনজন বলার দুঃসাহস অন্তত এ গ্রামের কেউ করবেন না। আজ যেমন, গত প্রায় ২৫টি বছর, যারা আমায় ১০০ হাত দূরে রেখেছেন, আমার প্রতি কোন ধরনের দয়া-মায়া দেখাননি, এমনকি আমায় হত্যা করতে, তাড়াতে, দাবীয়ে রাখতে জোট গঠন করেছেন এবং সবাই মিলে এ বিষয়ে আমাকে কষ্টের পর কষ্ট দিয়েছেন, তারা কেন আবার আমায় খুঁজবেন, আপনারাই বলেন?
কী বলেন? আপনাদের কি কোন অধিকার আছে? যদি আমি অন্য গ্রামে বা দূরে যাই চলে? থাকলে সেটি কী ও কেন? বুঝিয়ে বলেন ভালো করে।
আমি যখন ক্ষুদা-তৃঞ্চায় মরতে ছিলাম। আমার শিশু সন্তান যখন অভূক্ত ঘুমাচ্ছিলো, দিনের পর দিন যখন খাবার পায়নি ঠিক ভাবে। আর আপনি আমার চোখের উপর পেট ভরে খেলেন; আর আমার তামাসা চাইলেন। তাই আজ আপনি বা আপনারা বলেন, আপনারা আমার কেমন আত্মীয়? কেমন প্রতিবেশি?
দোকান পাটে যখন অন্যের ইশারা পেয়ে বা অনুমান করে আমায় যখন অযথাই দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন অনেক্ষণ ধরে; আপনি কি চিন্তা করেছিলেন(?), আমি কোথাও থেকে মজলুম হয়ে গিয়েছিলাম কিনা? বা আমার ও আমার পরিবারের খাদ্য আছে কিনা এবং এ অবস্থায় আমি গিয়েছিলাম কিনা? তাহলে বলেন, এ পরিস্থিতিতে আপনি আমায় খারাপ বিবেচনা করা, এটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত হয়েছে আপনাদের?
আমি পাইনি আপনাদের নিকট কোন ধরনের দয়া-মায়া, তাহলে আপনারাও আমার নিকট থেকে এ ধরনের কোন অধিকার পেতে পারেন না।
আগে আপনারা আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন; আমাকে কষ্টের পর কষ্ট দিয়েছেন। তাই এখন আমিও আপনাদের থেকে যতটুকু কষ্ট পেয়েছি, ঠিক ততটুকু কষ্ট দেয়ার অধিকার রাখি।
বহুলোক আমার ফোন কেটেছেন, ফোন ধরেন নি। অতএব এখন থেকে আমিও ফোন কাটবো। আমি যখন দূর্বল ছিলাম, আমায় দূরে রেখেছেন; আবার আমি যখন সবল হবো তখন বুকে জড়াবেন; সাবধান! এ জাতীয় লোক আমি না!
তাই আমি আবারো বলছি, আত্মীয়তার পরিচয় দিয়ে, প্রতিবেশির পরিচয় দিয়ে, বন্ধু-বান্ধবের পরিচয় দিয়ে, পরিচিত জনের পরিচয় দিয়ে কেউ কোন ধরনের কথা বলবেন না, ফোন করবেন না, কিছু পেতে চাইবেন না। আপনার কী প্রয়োজন, এখতিয়ার অনুযায়ী সেটি বুঝিয়ে বলুন। নতুবা আমি সরাসরি ফোন কেটে দিবো। এটা আমার অপরাধ হবে না। কারণ দীর্ঘ দিন আপনাদের নিকট থেকে, এ ব্যবহার আমি পেয়ে আসছি বা এসেছি।
আর অনেককেই আমি যখন সালাম দিতাম, আপনারা আমার সালামের উত্তর দিতেন না, হাসিমুখে কথা বলতেন না, আপনারা সমাজের অনেক দামী লোক ছিলেন। আবার অনেকে এমনও ছিলেন যে, আপনার সাথে আমার কোন লেনদেন বা কিছুই ছিলো না, তবুও আপনি আমায় খারাপ বিবেচনা করেছেন; শুধু অনুমান করে বা কারো কাছ থেকে কিছু শুনে।
দয়া করে এ জাতীয় লোকগণ আমার থেকে দূরে থাকবেন। যেমনটি আপনারা আমায় দূরে রেখেছিলেন।
হ্যাঁ, আমার সাথে থাকা আকাশের কেউ একজন আপনাদের অনেক প্রিয় ছিলো এবং এখনো আছে, আমি কিন্তু প্রিয়তো ছিলামই না; বরং আপনাদের নিকট অযোগ্য আর অপদার্থ ছিলাম এবং এখনো আছি। সম্মান কী জিনিস, তা আপনাদের কাছ থেকে আমি পাইনি। আমার আসমানী অনুজীবটি পেয়েছে। যে আমার ভিতরে থাকে। আমি পেয়েছি শুধু অবহেলা আর অবহেলা। তাই এখন থেকে কিছু চাইলে তারকাছে চাইবেন। আমার কাছে নয়।
যে আপনার স্বামী, ভাই, আত্মীয়, বন্ধু, প্রতিবেশি; যে ছিলো দয়ালু! তাকে আপনারা করতে পারেননি কদর! সামান্য আঙ্গুল আর চোখের ইশারায় আপনাদের আত্মীয়তা আর বন্ধুত্ব গেছে শেষ হয়ে! মানুষটাকে করেছেন প্রায় মৃত!
তাই এখন থেকে এ মানুষটির কাছে কিছু আর চাইবেন না। আপনাদের দীর্ঘ দিনের কর্মের কারণেই আজ আমাদের এ সিদ্ধান্ত। আর আপনারা ভালো করেই জানেন আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা খুব সহজে পাল্টাই না। একবার কিছু লিখে ফেললে, আমরা এতে ওভার রাইটিং করি না। আমাদের কথার মূল্য আছে!
[সতর্কীকরণঃ সাবধান! পরিবার প্রীতি, বংশ প্রীতি, দলপ্রীতি, ধর্ম বা সম্প্রদায় প্রীতি, গ্রুপ বা সিন্ডিকেট প্রীতি, বন্ধুপ্রীতি, স্বজনপ্রীতি, অর্থপ্রীতি! এ ধরনের প্রীতির ঠেলায় ইসলামকে আজ ইসলামের জায়গায় রাখেননি আপনারা। এবং সমাজের প্রায় সকলেরই এ ধরনের প্রীতি প্রায় শতভাগ করে রয়েছে।
ইনশা'আল্লাহু তা'য়লা! আমি কিন্তু আপনাদের এ কারেক্টারের, মানে এ ধরনের প্রীতির বিপরীত মেরুর মানুষ! তাই আমাকে ভূল বুঝে আপনারা আসলে নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুঠাল মারবেন বা মারছেন।
আর অনুমান ধারনা এবং শুনা কথায় বিশ্বাস এগুলো ছেড়ে দেন।
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আল্লাহ্ এ ধরায় নিজে এসে মানুষের জন্য কিছু করবে না। মানুষকেই মানুষের জন্য কিছু করতে হবে। সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করা, এটা মানুষেরই দায়িত্ব! অতএব রশি বাঁধা-বাঁধি ছাড়েন।
আমি এর আগেও বহুবার বলেছি, আমি হযরত উমর (রাঃ) প্রকৃতির মানুষ। ইনশা'আল্লাহ! আমি স্বচ্ছ হীরক খন্ডের মতো। আমি যা করি তা অগ্রীম ঘোষণা দিয়ে করি।
অতএব ভালোকরে শুনুন, কখনো যদি কোথাও যাই চলে; যদি কোন ভালো আবস্থান হয় আমার; তবে দৃঢ় ভাবে স্মরণ রাখবেন যে, এ ধরায় কেউ আমার আপন নয়; আমার সবাই আপন, সবাই পর; কথাটি সবাই মনে রাখবেন ভালো করে।]
ধন্যবাদ সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। সুন্দর থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
English:
"O my relatives! Since that year 2001, considering what an evil force has arisen within me and for this reason considering me harmful and propagating it, hindering my progress and making me uncooperative, you have taken a cruel and inhuman decision and have continued to implement it and in this, even after I and my family members were almost dying due to hunger and thirst, you have not changed your decision and cruel actions; as a result of which today I have become helpless, helpless, extremely useless and almost an orphan; then in this society, in this village I will also do nothing except Ya Nafsi.
I have not received any kind of kindness, love and heart from you! I have only received selfishness, jealousy, hostility and discrimination between people.
When I was almost dying for lack of food and clothing, even when none of your hearts melted, you still wanted to get from me only your own interests! Your own honor!
The reality is that, suppose, in my house, in society, in the shop or somewhere else, two or four people misunderstood me based on your knowledge and then you spread that wrong message around, as a result, how have I been humiliated by my behavior with my beloved children! And I am! I did not get good treatment from my own wife! My own house became almost like hell! I became friends later! Wherever I went, people did not treat me well, they misunderstood me! But basically your message against me was wrong! And you considered this wrong message to be true, first of all, just by assuming and pretending to be more knowledgeable, and later others did it just by hearing it. And in this I became a victim of great injustice and still am or am becoming. And among you, I became false, incompetent and oppressed! And you continue to commit this great sin.
Let me ask you two questions; Is it or was it permissible for you to be so involved in another person's family and life? To what extent is it permissible to incite another person's wife, bring unrest into their family and cause pain to their husband? Is it obligatory for a wife to obey her husband's orders and fulfill her husband's rights properly? Or is it obligatory to disobey her husband for the sake of peace and progress, deprive him of his rights, and on the contrary, to do as they say with the other people in the house? For what purpose is peace and progress? Respecting the husband? Or respecting the people in the house? In short, people are for people? Or are people, for the heavenly being inside people? What do you actually want? People, or wealth.
Your behavior proves that you don't really want people, you only want wealth. Because if you wanted people, you wouldn't have wanted the heavenly person inside me by making me suffer after suffering like this! Your gaze is very jealous, selfish and greedy! Since you want even a heavenly person only for wealth and only for the purpose of worldly peace! What, did I lie?
I cannot help but praise your knowledge, greed, jealousy, seeking honor and love of money, selfishness and arrogance; since you have evaluated me as unworthy in light of these questions. This is how your Islam is in your society today. Because many people did not do this to me because they thought it was not permissible, right!?
So since you only need worthy people, only need your own interests, if I leave you and go somewhere or go to another village, then, will you be happy(?), O my relatives and acquaintances of the beloved Govindapurbasi!?
Of course, now I have taken service in Uttar Chandpur Hazrat Abdul Quader Jilani (R.A) Madrasa in your neighboring village. Show me that you do not send any wrong or good messages there and mislead my kind super Huzoor or others against me! Since I live in the village of Gor Gobind, that is, in this village. And do not misunderstand me more and therefore treat me more badly, and do not create obstacles for me and create mental complications in the presence of the Madrasa authorities or the residents of Uttar Chandpur against me for managing the accounts and teaching the Madrasa. Since I want to stay in this Madrasa.
For so long, I mean for almost 25 long years, I have not received any appreciation from you for my actions, morals, Quran recitation, prayers and dhikr; I have only received teasing; insults and underestimation. Since I did not receive it from you; therefore, I did not receive it from outsiders either.
To remind you well, I would like to tell you that to this wife of mine, to this house of mine, to this village of mine, I was to all of them, an infinitely unworthy, worthless, downtrodden, oppressed and disrespectful person.
Listen, because of selfishness, thinking that I would harm people, my relatives (elder brother, sister-in-law, nephew and family members) cruelly oppressed me, and almost all the residents of the area acted as they said; in this I could not do anything against them or could not or would not be able to, saying that I would not find Allah!! Wanting to be a friend of Allah!! Because they are relatives! Because in Islam, the chain of relatives is like this!! What blood relatives do not want or are ready to prevent; No believing blood relative can do that by being near those relatives; This is the Islamic chain of kinship.
Until now, I did not understand that it is my relatives who have kept me down! They are the ones who have kept me tight! The negative words that propagate my incompetence against me in society originate from my own lineage and that I do not respect my elder brothers and relatives, do not speak respectfully to them and use arrogant language with them; The origin of these lies and fabricated words originates from the assumptions and ideas and propaganda of my elder brothers, their friends and some people in the area.
Again, their decision to keep me or keep me tight may be a miracle or a miracle. They may take this wrong decision without realizing it against me!!
However, it is true that they have kept me tight because of the love of this world; and I cannot harm them or even think of harming them, for fear of the Hereafter or fear of not finding Allah.
But what is the real reason for this, I have not understood it properly yet!
However, apart from money, power and selfishness among people; love, kindness, and faith are almost non-existent; but I have understood it correctly!!
What kind of power did they see in me that I can harm the world! What is that power and where has it gone now!! Otherwise, why did they decide like this!! How can one person harm so many people?
Today I am almost finished. So from today onwards you may not see my big posts on this subject anymore.
Even if I go to get a tuition, I will see that my bad name will disappear first. As a result, I will not get the tuition anymore!
Hey, do you want to kill us by creating an artificial shortage of food and clothes for me and my family? Or do you want to keep beggars and madmen in this society?
You are the one who is undervaluing or killing a talent or has killed or continues to try to kill a accumulated power; the main responsibility behind this is you.
Consider this, there is no more time to continue to spoil me and hinder me like this, otherwise it seems that you will not be able to avoid the responsibility of this from Allahu Ta'ala and the people of the world.
I know very well that if I can somehow become rich; then you will be the first to pull me into your bosom. First of all, you will demand that, come brother, come neighbor, come into my bosom! Then you will want to be my best friend!
But what have you done to accept me, to evaluate me? Then will you have this right or the right to express your joy by swelling your throat? Or do you have it?
So please don't push me anymore! Please, pray for me now! Please don't spread my bad name anymore! Be careful about this! Be especially careful about the children, boys and stupid people of the family and society! Support whatever I do or want to do. Support. And participate yourselves. Spread my goodness. So that I can walk on a righteous basis with respect. Do this to protect your respect in society. Accept me first, put me in a seat of honor, respect me; then you want to receive from me!
Everyone, remember the words, if you give me ten taka, then for ten taka I will not be able to bring you anything other than half a kilo of potatoes, so never dream of bringing hilsa fish by me for ten taka or do not want to see or do not apply.
Insha'Allah, this may be my last post about you!"
O my relatives! Your relations and so-called socially intelligent, socially benevolent and philanthropic brothers and sisters!
In that year 2001, by some sign of Allah, I changed mentally and started running only towards Allahu Ta'ala.
Miraculously, a stored power accumulated within me and started to be expressed through my words, deeds, worship, gestures, expressions and various physical and mental manifestations.
I started spending extra time on reciting the Quran, praying, remembering and remembering. And immediately my behavior started to be different from other people.
At the beginning of the emergence of this incorporeal power and almost as soon as I saw it, you declared it as harmful for me, you and human society and decided that in order to be saved from it, you had to destroy it, kill it or drive it away.
And to implement this decision, you tried various amulets, charms, spells, doctors, poets, etc. However, I used to recite the Quran. I wanted to be engaged in worship more and more. You did not give it any value, value, or dignity. On the contrary, you considered me harmful and tried to chase me away.
But somehow, unable to chase away this jinn or incorporeal thing or power of mine, you took a cruel and ruthless decision to weaken, weaken, and subdue me in all aspects at any time. So that this incorporeal power of mine could not harm you or anyone else or could not raise its head.
And you continued to implement it by providing me with uncooperation and obstacles in my various honorable works and have continued to do so until now.
I do not know how reasonable this decision of yours was.
Since you have labeled me as a negative invisible force and have considered me with a negative perspective, and many still do, I too, for some unknown reason, or because I find some of you visually or auditory or harsh language offensive to me, or for some unknown reason, God knows, then I oppose you through various expressions and gestures.
First you declared me harmful and started a war against me, then I took a position against you in my subconscious mind.
Where you saw me negatively, then how can I see you positively?
With this, you also started an open mental or nervous war with me.
A war of opposite words and opposite words began. Etc.
This war reached such an extreme level that I could not bear it and left the house several times.
After marriage, you also explained the matter to my wife, as a result, she also vowed to keep me weaker and weaker due to the pull of the world and your group-based fear and kept considering me negatively. In other words, even though she was my wife, I remained her wife to her. She also became my opponent. As a result, quarrels started between husband and wife. Arguments and quarrels and fights. You used to see it, listen to it and you used to feel happy about it! You, my family members, always supported my wife, incited me against her; as a result, you found a reason to declare me crazy. And you had a lot of advantages in pretending to be a saint in front of people.
Again, there was more pain and humiliation for me, I did not understand the matter! I loved my wife; and she used to act with me! Why exactly she did this; I did not understand it. On the contrary, she did not value my love. On the contrary, she used to respect you and collect your praise! And she used to cheat me. I did not understand this evil in your mind! I only respected and loved you.
0 Comments