সৈয়দ আরিফ উল্যাহ

পাত্রী চাইঃ
[ইনশা'আল্লাহ আমি আল্লাহু তা'য়ালা বা সৃষ্টিকর্তার দূত। এবং এ পোস্ট কোন ধরনের প্রতারণা মূলক পোস্ট নয়। আল্লাহু তা'য়ালার রহমতে, এ পোস্টে অসৎ উদ্দেশ্য বা মিথ্যার লেশমাত্রও নেই। খোদা ভীরু, ধনী, বিজ্ঞান মনষ্কা, উদার, মানব সেবক, বয়ষ্কা, বিশেষ করে ইংরেজ রমণীদেরকে উদ্দেশ্য করেই এ প্রবন্ধটি লিখা; ভাগ্যে বাকীরা থাকলেতো থাকলো; নতুবা অন্য মহিলাগণ প্রবন্ধটি স্কিপ করতে পারেন। 

তবে আমি যেহেতু আরবী জানিনা এবং সৌদি রমণীদেরকে বিয়ে করার সুযোগ আমার এ মহুর্তে খুব একটা নেই, তাই আমি এভাবে বললাম; নতুবা সৌদি রমণীদেরকেই আমি বেশি পছন্দ করতাম।

  এ প্রবন্ধটি শুধুমাত্র মানুষকে যারা নিঃস্বার্থ ভালোবাসেন, ধনী ও জ্ঞানী, শুধুমাত্র তাদের জন্য। ওগো ইংলিশ মহিলাগণ, নিয়ে যান, আমায় এখান থেকে। ইনশা'আল্লাহ পাবেন রত্ন! 

আমি কেন বিয়ের মাধ্যমে এখান থেকে চলে যেতে চাই তা বুঝতে এখানে ক্লিক করে, আমার এ পোস্টটিও পড়ে নিতে পারেন।

প্রিয় আমার হবু স্ত্রী, শুনুন, ধরুন, এখানকার লোকেরা আমায় দশটাকা দেয়, আর এ দশটাকা দিয়ে আমি তাদের জন্য ভালোকরে এক পোয়া বাচ্চা ওজনের ফানুস মুড়িও আনতে পারি না; অথচ এরা উপহাস করে আমায় বলে, কই, আমাদের জন্যেতো সে গরুর গোস্তও আনতে পারলো না; তবে সে কী পারবে!? পাগলেরে বাঁধ ভালো করে, এরে পিটাও এবং এর ভূত তাড়াও! তাহলে, হে আমার প্রিয়তমা! একি আমার অযোগ্যতা? না তাদের পাগলামী!? দশ টাকা দিয়ে যদি বলে গোরুর গোস্ত এনে দেখাও; তাহলে এ বোকামী, তাদের (?); না আমার? শুনেন আমার প্রিয় বোনেরা! এখানে আমি কেয়ামত পর্যন্ত থাকলেও এদের রুলস, এরা পাল্টাবে না; ফলে এখানে আমি মানুষের জন্য দশ টাকার বেশি কিছু আনতে পারবো না; তাই প্লিজ, হে প্রিয় ইংলিশ জেন্টেল সায়েন্স লেডি! আমাকে এখান থেকে নিয়ে যান। যেখানে আছে শুধু ভালোবাসা, বিশ্বাস, সততা, মূল্যায়ন, অর্থ ও বিজ্ঞান সেখানে। আমি মূলত ওয়াল্ড সায়েন্স ল্যাবরেটরীতে যেতে চাই; এবং নিজেই বুঝতে চাই, আমার সাথে এটি কী? এবং গবেষণা করে আপনি বা আপনারা সহ বিশ্ববাসীর জন্য কোন উপকার বের করে আনতে চাই! যা এখানকার লোকদের দ্বারা কষ্মিক কালেও সম্ভব নয়! বরং এরা আমায় তাদের ছাগল মার্কা বৈচারিক পরীক্ষা করতে করতেই  ও হুজুগে জ্ঞান দিতে দিতেই  পঁছিয়ে ফেলবে এবং প্রায় পঁছে ফেলাও হয়েছে এখানে আমায়! তাই যিনি বিজ্ঞান চর্চায়, মানুষের কল্যাণে সাধ্যমত যে কোন কিছু করতে রাজী আছেন; এরূপ কোন বিজ্ঞানী আপু আমাকে যদি এখান থেকে নিয়ে যেতেন, আমার মনেহয় এতে বিশ্ববাসির অনেক অনেক উপকার হতো! আর আমি হতাম শুধু আপনার, আর আপনি হতেন শুধু আমার! 

বিশ্বাস করুন গত প্রায় ২৫ বছর ধরে কেউ আমায় ভালোবাসে না, কেউ আমার সাথে মন খুলে একটু কথা বলে না, আমার সাথে সাবলীল ভাবে হাঁটতে চলতে চায় না কেউ। সবাই শুধু আমায় সন্দেহ করে, অযথাই আমায় খারাপ ভাবে। আমায় জ্বীনে ধরেছে বা আল্লাহর কোন এক অনুজীবে ধরেছে, এতে মানুষগুলো কেন আমায় বয়কট করলো, আমি বুঝতে পারলাম না। আমিতো আর কোন মানুষের ক্ষতি করিনি। এতো দীর্ঘ সময় আমি প্রায় পুরো একলা, তার উপর অভাবের তাড়নায় ও আমার প্রতি মানুষের খারাপ মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আমার কোমল মন আঘাতে আঘাতে জর্জরিত। আলহামদুলিল্লাহ আমার কাছে এক বিশাল ও কোমল প্রেমময় মন রয়েছে; অথচ এ মন আমি কাউকে দিতে পারিনি। আমি মানুষকে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম। একবুক সরল ভালবাসা নিয়ে, আমি কাউকে ভালোবাসতে পারিনি। বউকেও না। সেও বেঁচে থাকার তাড়নায় ও গ্রুপিংয়ে পড়ে আমার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিলো। আমার প্রেম-ভালোবাসার মূল্য সেও দিতো না। ফলে এক জেলখানার মধ্যে যেন বেঁচে আছি।

তাছাড়া এখানকার লোকদের একটা মারাত্মক বেড় কারেক্টার হচ্ছে, কোন তথ্য প্রমাণ কিছুই নেই, তবুও এরা একজন লোককে, প্রথম থেকেই খারাপ চরিত্রের ভাবতে শুরু করে, যা আসলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যহত করে এবং এটি একটি কষ্ট দায়ক পরিস্থিতি। আর যখন তারা কাউকে খারাপ ভাবে, তখন তারা ঐ মানুষটিকেও খারাপই দেখতে পায়। যেহেতু যার ভাবনা যেমন, সে দেখবে তেমন। ঠিক যেমন রবকে কেউ রাম ডাকে, কেউ যিশু, আবার কেউ আল্লাহ্! আর এভাবে করে, এরা আমাকেও খারাপ হিসেবেই দেখতে পেয়েছে ও নির্ণীত করেছে। আসলে যা ছিলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। এবং আমার জীবনে খারাপির একটি ছোট্ট উদাহরণ বা তথ্য-প্রমাণও তাদের হাতে নেই।
এবং  এখানকার মানুষগুলো যা আমাকে প্রতিনিয়তই মনে করছে ও কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে। এবং এভাবে করে এরা আমাকেও প্রায় রোগীই বানিয়ে ফেলেছে। এবং এ কারণে আমি ভালো হয়েও খারাপ সেজে আছি এদের মাঝে। যা আমার জন্য সীমাহীন প্রায় মৃত্যুতুল্য কষ্টের।

এছাড়া এখানকার লোকদের এর চাইতেও খারাপ কারেক্টার হচ্ছে, যখন এরা কাউকে খারাপ ভাবে তখনতো তারা একে বর্জন করবে, তাইনা? কিন্তু না! এদের লোভ, লালসা এতো বেশি যে, অর্থ, সম্পদ আর ক্ষমতার মোহে এরা সেই খারাপ মানুষটিকেই সাদরে গ্রহণ করে বা করতে চায়; যদি না তাদের আবিষ্কৃত ঐ খারাপ মানুষটির মাঝে কোন সম্পদ থাকে। এভাবে করে তাদের এ মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে প্রতিনিয়তই কাঁদায়।

 আর আমার এখানকার লোকদের শিক্ষা হোক যে, এবং আমি চাই যে,  আমি যেমন কেঁদেছি, এখানে সেবা করতে চেয়ে, তেমনি এরাও কাঁদুক আমায় হারিয়ে! 

 হে মোর প্রিয়া! আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর রহমতে আমার মধ্যে কিছু সঞ্চিত ও পুঞ্জিভূত শক্তি রয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়েছে! যা আমার শারীরীক-মানসিক এবং ব্রেনগত ক্রিয়া ও নিজ শরীরের বিভিন্ন উপস্বর্গ এনালাইসিস করে ও এতে মানুষের পার্টিচিপেট অনুযায়ী বুঝতে পেরেছি। জ্ঞানহীনতা, মূর্খতার কারণে উদ্ভূত বিভিন্ন প্রতিকূলতা, অসহযোগিতা ও বাধা হেতু, আমার এ সঞ্চিত শক্তির মাধ্যমে, আমি আমার এ জন্মস্থানের নিজ এরিয়ায় মানুষদেরকে সেবা প্রদান করতে পারিনি বা পারছি না। এখানে আমার প্রতিভা, মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না। এখানে আমার সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন করা যায়নি বা যাবে বলে মনে হয় না। এখানে মূর্খতা, জ্ঞানহীনতা, স্বার্থবাদিতা ও অহংকারের কারণে আমাকে প্রতিনিয়ত অবমূল্যায়ন আর অবহেলা করা হচ্ছে। এবং এখানে যেহেতু আমি এদের চোখে ভালো না, তাই এদের সমাজ আমাকে একেবারে অযোগ্য আর দূর্বলদের কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে এবং এরপরেও এদের চোখে আমি ভালো হতে পারিনি। আল্লাহ্ মাফ করুক, আমি যা বুঝতে পেরেছি, এদের জ্ঞানের পরিধি একেবারেই কম! এখানকার মানুষগুলো আমাকে যোগ্যতার আসনে আসীন দেখলে কাশে এবং আমার শুদ্ধ কোরআন পাঠ শুনলে হাসে। এরা আমাকে সুস্পষ্ট তিরষ্কার করছে। এদের কাছে যোগ্যতা বলতে শুধুই সার্টিফিকেটকে বুঝায়। মানুষের কারেক্টার যে যোগ্যতার মূল, যা তাদের নলেজে মনে হয় নেই। মানুষকে মূল্যায়নের, মানুষের ওজন পরিমাপের কোন সঠিক ও সরল যোগ্যতা এ এলাকার মানুষের আছে বলে আমার মনে হয় না। এখানে স্বার্থপরতা, হিংসা, শত্রুতা আর মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ছাড়া, দয়া-মায়া আর প্রেম-ভালোবাসা বলতে তেমন কিছু আমি দেখতে পাইনি। তাই বিয়ের মাধ্যমে অন্য প্লেসে গিয়ে আল্লাহ প্রদত্ত আমার এ সঞ্চিত ও পূঞ্জিভূত শক্তির সহযোগিতায় আপনাকে এবং মানুষদেরকে সেবা প্রদান করতে চাই। না হয় এ নেয়ামতের বিষয়ে, মহান রব কর্তৃক জিজ্ঞাসিত হলে আমি এর কী উত্তর দিবো!? তাই আপনার প্রতি বিয়ের এ প্রস্তাবনা প্রদান করলাম! প্লিজ, আপনি কবূল করে আমায় আহবান করুন ও মানব সেবায় আত্মনিয়োগ করুন এবং আমাকে উদ্ধার করে এখান থেকে নিয়ে যান।  প্লিজ আসুন! হে আমার বিজ্ঞান মনষ্কা হবু প্রিয়তমা! আমরা দুয়ে মিলে মানুষের জন্য এমন কিছু আবিষ্কার করি, যা দ্বারা কেয়ামত পর্যন্ত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের উপকার হতে পারে! আত্মমানবতায় রিক্স নিন! আসুন! আমার বিশ্বাস, ইনশা'আল্লাহ! আমরাই হবো সাকসেস! তাই কারো বিয়ের প্রস্তাব পেলে এবং আমার মনোপূতঃ হলে, তখন আমি এখান থেকে চলে যেতে চাই। যেহেতু এখানকার মানুষ গুলো আমাকে শুধু আঁটকাতে চায়। যেহেতু এখানকার মানুষগুলো থেকে আমি কোন ধরনের গ্রহণ যোগ্যতা বা মূল্যায়ন পাইনি। আমার কাছে মনে হয়, বাতাসের মধ্যেও অনেকগুলো অনুজীব রয়েছে। আর মানুষ পক্ষে থাকলে, এ অনুজীব গুলোও পক্ষে থাকে; আর মানুষ বিপক্ষে থাকলে এরাও থাকে বিপক্ষে। তাই কেউ যদি আমায় আহবান করেন, আমি একাই চলে আসবো ইনশা'আল্লাহ! কারণ বলতে গেলে বাতাসের অনুজীব গুলোই হয়তো আমায় বাধা দিবে। আমি শুধু আপনার হয়ে থাকতে চাই। আর আপনার সাথে আমি সেবামূলক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার নিয়ে সময় কাটাতে চাই। প্লিজ, আমায় আহবান করুন; আমায় সুযোগ দিন!]

(বিঃদ্রঃ ইনশা'আল্লাহু তা'য়ালা আমি বিশ্বস্থ, সৎ ও আল্লাহ ওয়ালা মানুষ। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আল্লাহর রহমতে আমাকে বিয়ে করার মাধ্যমে আপনি আমাকে; মানে একজন সৎ, উদার, মানব দরদি ও আপনার মনমতো একজন জীবন-মরন সঙ্গী বা স্বামী পাবেন, যে আপনার দুঃখ গুলো বোঝবে ও সুখে-দুখে আপনার পাশে থাকবে এবং আমার মাধ্যমে হতে পারবেন সৃষ্টিকর্তা, তথা আল্লাহর বন্ধু। যেহেতু ইনশা'আল্লাহু তা'য়ালা আমি আল্লাহু তা'য়ালার বন্ধু!  পুরো প্রবন্ধটি পড়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি।)

আপনি যদি সত্যি বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজেন, অথবা আল্লাহর বন্ধু হতে চান, অথবা কোন সৎ লোককে সহযোগিতা করতে চান, সৎ লোকের সহযোগী হতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার এ সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়া দরকার। কারণ যার সাথে বা যাকে নিয়ে সারা জীবন থাকবেন; আর তার বিষয়ে জানতে বা এ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে, সামান্য এ প্রবন্ধটি পড়তে পারবেন না!? অতএব, এ প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে ও ভালোভাবে না পড়ে, কেউ আমার নিকট প্রস্তাব পাঠাবেন না বা চ্যাটিং করতে যাবেন না। যেহেতু বেহুদা সময় পাচ করার কোন প্রয়োজন নেই।

আবার, যিনি তার প্রকৃত রব কে(?); তা বুঝতে চান অথবা রবকে আরো আপন করে পেতে চান অথবা প্রকৃত সূষ্টিকর্তাকে খুঁজছেন এবং প্রকৃত সৃষ্টিকর্তাকে বুঝতে পারলে, তখন তাকে ১০০% মেনে নিবেন; শুধু এ ধরনের মেয়ে বা মহিলারাই আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। কিন্তু যদি এমন হয় যে, গড বা ভগবানই বা যিশুই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, এবং ইত্যাদি অযৌক্তিক হলেও এগুলোই মানবেন; এগুলোতেই আপনার স্থির বা অন্ধ বিশ্বাস থাকে বা দুনিয়া প্রাপ্তিই যদি আপনার একমাত্র বিষয় হয়; এছাড়া অন্যকিছু আপনি বুঝতেই চাইবেন না; আমার সব কথা, কাজ বা ব্যবহারকে আপনি শুধু আপনার মতো করেই বুঝবেন বা কোন ধরনের পাত্তাই দিবেন না; আমার প্রতি, মানুষের প্রতি, কোন ধরনের প্রেম-ভালোবাসাই আপনার অন্তরে থাকবে না; তবে এ ধরনের ব্যক্তিদের আমার সাথে যোগাযোগের বা আমাকে বিয়ে করতে চাওয়ার কোন প্রয়োজন নাই।

ইনশা'আল্লাহ! আমাকে বিয়ে করার মাধ্যমে, আমাকে মেনে চলার মাধ্যমে, আপনি আপনার রব, মহান আল্লাহু তায়ালাকে পাবেন।

আর আমিও, হযরত খাদিজা (রাঃ) যেমন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে ভাগ্যে পেয়ে সৃষ্টিকর্তাকে পেলেন, তেমনি আমিও কাউকে না কাউকে খুঁজে পেয়ে, আমার মহান রব আল্লাহু তা'য়ালাকে আরো ভালো ভাবে পেতে চাই এবং এতে আমিও যেন এ ধরাধামে পূর্ণরূপে প্রকাশিত হতে পারি; ও আমার জীবন সঙ্গি হিসেবে আমাকে মান্য করে সে মহিয়ষী নারীও যাতে আমাদের সকলের রব আল্লাহু তা'য়ালাকে পেতে পারে, সে বিষয়টিই আমি চাই। 

অর্থাৎ এমন একজন ধনবান মেয়ে বা মহিলাকে খুঁজছি, যার মাধ্যমে আমরা উভয়ে মহান আল্লাহ্কে একান্ত আপন করে পেতে পারবো এবং মানুষের উপকার করতে পারবো!

প্রয়োজনে আমার সাথে সৃষ্টিকর্তার দূত রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে পারেন। আমাকে যাচাই করার জন্য নিম্নে আমার অনলাইন ও অফলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং সোসিয়াল লিংক সমূহ প্রদান করেছি। ইনশা'আল্লাহ আপনি যদি আমাকে সত্যিই পজেটিভলি ভাবে বুঝতে চেষ্টা করেন, তবে আমি আশাবাদি, আমাকে শতভাগ বুঝতে পারবেন। এবং আমার সাথে চেটিং করেও বুঝার চেষ্টা করতে পারেন। 

দেখুন, আপনাদেরকে বুঝতে হবে যে, এ পৃথিবীতে আমার প্রথম উদয় হওয়াতে এবং আমার নিকট উপযুক্ত প্লেস, পরিবেশ ও অর্থ না থাকাতে এবং আমি শতভাগ পিউরিটি চাওয়াতে ও এ কারণে মানুষগুলো আমাকে তাদের পরিবেশে বুঝতে না পেরে, হয়তো আমাকে তারা বাধাগ্রস্থ করে রেখেছে, এবং এ কারণে হয়তো দেখতে পাবেন আমার তেমন কোন সাবস্ক্রাইবার বা ফলোয়ার নেই ও আমি বেড়েও উঠতে বা আমার পরিচয়ও প্রকাশ করতে পারছি না ঠিক ভাবে। এবং যে কারণে আপনি হয়তো দেখতে পাবেন, আমার নিজ পরিবার ও বংশই আমাকে জিম্মি ও মজলুম করে রেখেছে।

 কিন্তু সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করলে আপনি ঠিকই বুঝতে সক্ষম হবেন যে, আসলে আমি অযোগ্য বা অসৎ লোক বা মানুষের জন্য অপকারী কিছু নই। একটু ট্রেনিং, সহযোগিতা, অর্থ, সুশীল সমাজ ও উপযুক্ত পরিবেশ পেলে হয়তো আমিও হতে পারি এ মহাবিশ্বে সেরাদের সেরা, মানে ভাইরাল ও জগতের বন্ধু!

আসলে আমি মানুষকে খুব গভীর ভাবে ভালোবাসি! যা মানুষ হয়তো বুঝতে পারে না। 

ইনশা'আল্লাহু তা'য়ালা! দুনিয়াতে হয়তো এমনও দেখা যেতে পারে যে, আমি অতীব দূর্বল হয়ে যাওয়ায়, আমার যেসব আত্মীয় বা আপনজনেরা আজ আমাকে দূর দূর করে দূরে ঠেলে রাখছে; সেই তারাই যদি, ভবিষ্যতের যে কোন সময়ে, আমার এই দূর্বলতার সহস্র ভাগের একভাগ পরিমাণও দূর্বল হয় (আল্লাহ না করুক), আর তখন আমি যদি সবল হই, তখন হয়তো নিশ্চিত ভাবে ইহা সত্য হতে পারে যে, আমার মতো আপনজন, উপকারী বন্ধু তারা হয়তো সারা দুনিয়াতেও আর পাননি বা পাবেন না এবং আশ্চর্য হয়ে তাদেরকে হয়তো এই দেখতে হবে যে, আমার আজকের সময়ে আমাকে দূর দূর করে, যাদেরকে তারা বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছে, তারাই হয়তো তখন তাদেরকে চরম অবহেলা করছে; অথচ তখন আমি তাদের বন্ধু! 

যেহেতু আমার বাঁচা-মরা; বন্ধুতা-শত্রুতা একমাত্র আল্লাহু তা'য়ালার জন্য!

এখানে একটি কথা আপনাদের নিকট পরিষ্কার করে দিই, ২০০১ সনে উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা কালীন, হঠাৎ আমার মন-মোগজে একটি অশরীরী শক্তির উদ্ভব হয়। এ অশরীরী বা অলৌকিক শক্তিটিকে আমার ভাই-ভাবী সহ বাড়ির সবাই তাদের উন্নয়নে হুমকি বা তাদের জন্য ক্ষতিকর মনে করে, আমার বিরুদ্ধে তারা এক নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, জীবনে আমি সম্মানজনক যে কাজই করতে যাই না কেন, এরা সবাই মিলে এতে অসহযোগিতা ও বাধা প্রদান করবে এবং এ যাবৎ তাই করে চলেছে তারা। অর্থাৎ ওরা আমাকে পায়ের তলায় রেখে কোনমতে বাঁচিয়ে রাখবে, মাথা তুলে উঠতে দিবে না। বিশ্বাস করুন, আমি অনেক ভাবে দেখেছি, এটি আসলে মানুষের জন্য ক্ষতিকর কিছু নয়, বরং এটি রবের দূত বা মানুষের জন্য কল্যাণকর কিছু ছাড়া অন্য কিছু নয়। মূলত তাদের অসহযোগিতা, হিংসা, অপ-প্রচার ইত্যাদি কারণেই অথবা এ জায়গাটি আমার প্রস্ফুটনের উপযুক্ত না হওয়ায়; অথবা রবের কোন এক অজানা কারণে আমি এখানে প্রস্ফুটিত হতে বা মানুষের জন্য কিছু করতে না পেরে, বিয়ের মাধ্যমে অন্যত্র হিজরত করে চলে যেতে চাচ্ছি এবং মানুষের সেবায় ও আল্লাহর ইবাদতে নিজের জীবনকে উৎস্বর্গ করতে চাচ্ছি।

বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের বড় ভাই বা নেত্রীবৃন্দরা ছোট বেলা থেকেই আমাকে চেয়েছিলো তাদের দলে অংশ গ্রহণ করাতে এবং বিয়ের আগে অনেকগুলো মেয়ে ও তার অভিভাবক চেয়েছিলো আমাকে জামাই রূপে পেতে। কিন্তু আমি কারো আহবানে সাড়া দিইনি। আল্লাহু তা'য়ালার এক অশেষ রহমতে আমি কারো জালে জড়াইনি। কারণ আমি দেখলাম, যেহেতু সাধারণের নিকট আমার জনপ্রিয়তা রয়েছে, তাই আমাকে ব্যবহার করে, আমার চেহারা দেখিয়ে, তারা শুধু তাদের ব্যক্তি কিংবা সম্প্রদায় কিংবা শুধু তাদের দল কেন্দ্রীক একমুখী স্বার্থসিদ্ধীই চায়। যেখানে সার্বজনীন হওয়া কখনোই সম্ভব নয়। এবং যেখানে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকাও প্রায় অসম্ভব। 

আর এতো কিছুর প্রভাবের মাঝে আমি মনে হয়, এক অলৌকিক শক্তির প্রভাবেই প্রায় একাকীই বেঁচে আছি!

আশ্চর্য হয়ে আমি আরো দেখলাম, দুনিয়ায় ভালো মানুষদেরকে মানুষ চিনেনা, ভালো মানুষদের সাথে মানুষ থাকে না এবং আখিরাতমুখী ভালো কাজের সাথে মানুষ পাওয়া যায় না। বরং ভালো মানুষদেরকে মানুষ ভূল বোঝে ও মানুষদের জন্য, মনূষ্য সমাজের জন্য ক্ষতিকর মনে করে তাদেরকে। এখানে সততা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা নামক মানুষের আখলাকের অতীব গুরুত্বপূর্ণ এ তিনটি বিষয়; মানুষের আঙ্গুলের ইশারা, চোখের ইঙ্গিত, ঠোঁটের মৃদু আলাপ, আর জীহ্বার রসালো ভাব বা বুকের আকুতি অথবা ভোজন বিলাস ছাড়া, কখনোই তা হৃদয়ের গহীনে, মানে প্রকৃত বন্ধুত্বে পৌঁছাতে পারেনা।

যদিবা বিলিয়ন বিলিয়ন জনতার মাঝে সত্যের মৌল কেন্দ্রীক আল্লাহর প্রিয় ভাজন, এ ধরনের দু'এক জন মানুষ পাওয়া যায়, দুনিয়ায় তাদেরকে যেন অনেকটা আগুনের মধ্য দিয়ে চলতে হয়। সীমাহীন কষ্ট, দারীদ্র, আর একাকীত্ব নিয়ে তাদেরকে জীবন অতিবাহীত করতে হয়।

এহেন পরিস্থিতিতে, হে আমার প্রিয়তমা তুমি যদি ১০০% আল্লাহকে চাও, তাহলে আমাকে আহবান করো। আমি চলে যাব তোমার নিকট। তবে ভয় পেয়ো না; আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহু তা'য়ালার নিকট ১০০% আত্মসমর্পন করে ও তোমার সব কিছু তাঁর নিকট উৎসর্গ করে, উপরোক্ত সত্যের মৌল কেন্দ্রীক ভাবে, যদি দুনিয়া নামক আগুনের মধ্যদিয়েও চলো, তবে ভাগ্যে থাকলে ও আল্লাহু তা'য়ালা চাইলে, তাহলে দুনিয়ায় যতই আগুন থাকুক না কেন, এসবে তোমাকে হয়তো ঘ্রাস করবে না, বরং হয়তো এ আগুনই হবে, তোমার জন্য শান্তি দায়ক এবং তুমি কখনো গরীব নাও হতে পার বা থাকতে পার। সাধারণত এ ধরনের মানুষ বিলিয়নের মধ্যে একজনই হয় বা হতে পারে; আর এ বিলিয়ন জনতার মধ্য থেকে, এ ধরনের একজনের জন্য, দুনিয়াই হতে পারে হয়তো একটি বেহেশত খানা। যেহেতু আল্লাহ চায় মন। আর মনের পরীক্ষা আল্লাহ্ আত্মীক ভাবেও করতে পারেন।

এখানে আমাকে সব চাইতে বেশি কষ্ট দিয়েছে বা দিচ্ছে বালক বয়সের ছেলেগুলো এবং নিম্নশ্রেণীর অশিক্ষিত বোকা মানুষগুলো। যা এলাকার রাঘব বোয়ালদের, আমার ভাই-ভাতিজাদের শিক্ষার কূফল, যা তাদের বোকামিতা ছাড়া আর কিছু নয়। আমার কাছে সবচাইতে খারাপ লেগেছে, যারা আমায় তাদের পথের কাটা মনে করেছে, তারা সমাজের সকলের কাছে, আমি যে তাদের ক্ষতির কারণ হতে পারি, এটা তারা বলেনি। তারা কারো কাছে বলেছে আমি অহংকারী, আবার কাউকে বলেছে আমি পাগল; যাকে যেভাবে বলে আমায় অপমান করা যায়, আঁটকানো যায়, সেভাবে বলে, আমার যোগ্যতা, প্রতিভাকে নস্ম্যাত বা মলিন করে রেখেছে। ফলে কারো সাথে উচ্চ গলায় কথা পর্যন্ত বলতে পারি না এখানে! কিন্তু আল্লাহর প্রতি আস্থা রেখে আমি বলতে পারি, আমায় যদি আপনারা ইনভেস্ট করেন, তবে আমার বিশ্বাস, আমার এ মন-মগজ থেকে সোনা ফলবে ইনশা'আল্লাহ। 

এখানকার মানুষগুলো হয়তো আমার মধ্যে কী যেন একটা কিছু দেখতে পেয়েছে; আমার শরীর থেকে ইশারা ইঙ্গিত বা বিভিন্ন উপস্বর্গ প্রকাশের মাধ্যমে, যা নাকি তাদেরকে বুঝিয়েছে যে, সে নাকি আমাকে এখানে থাকতে দিবে না, এ এলাকা থেকে আমাকে নাকি নিয়ে যাবে সে; আর তাই এ এলাকার মানুষগুলোও পণ করেছে; আমাকে তারা শক্ত হতে দিবে না; মানে চলে যেতে দিবে না। যেতে হলে আমার বাড়ি সহ সকলের গোলামি করে যেতে হবে। আমি ভাই, আল্লাহর গোলামি ছাড়া মানুষের গোলামি করতে জানি না। আর তাই এখানকার মানুষেরা আমাকে কোন কাজে সহযোগিতা করে না। যা আমি বুঝতে পারলাম।  

ইসলামিক আইন অনুযায়ী, আত্মীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে প্রবেশ করিবে না। আমিতো ভাই বেহেশত চাই, আল্লাহু তা'য়ালাকে চাই; এবং দুনিয়ার কোন কিছুর বিনিময়েও, মানে চন্দ্র-সূর্য বা গোটা সৃষ্টিজগৎ প্রাপ্তি, অথবা নিজের জান-মাল সহ সব কিছু কোরবানী কিংবা হাজারো ক্লেশ-কষ্ট সহ্য করা ইত্যাদি কোনকিছুর বিনিময়েও আমার আল্লাহ্ এবং বেহেশতকে হারাতে পারবো না। আর তাই আমার আত্মীয়-স্বজনেরা যদি আমাকে বেঁধেও রাখে, কোন সহযোগিতা না করে বা আমার উপর যদি জুলুমের উপর জুলুমও করে (যেমনটি করেছে বা করে চলেছে); তবুও আমি তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পারবো না, বা তাদেরকে হারাতে পারবো না, বা তাদেরকে ডিনাই করতে পারবো না। যেহেতু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলছেন; আত্মীয়দের সাথে সু-সম্পর্ক না রাখার মানে হচ্ছে, আমার আল্লাহ্ ও রাসূল (সাঃ)-কে হারিয়ে ফেলা; মানে বেহেশত না পাওয়া। যা আমার দ্বারা কষ্মিককালেও মানে কখোনোই সম্ভব নয়।

তাই, হে প্রিয়! সম্পূর্ণ আমার একক প্রচেষ্টায়, হাজারো দৈন্যদশার মাঝে তৈরীকৃত আমার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সমূহ ভিজিট করুন, আমাকে বুঝতে চেষ্টা করুন ও আমাকে এখান থেকে নিয়ে যান। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, ইনশা'আল্লাহ! আমাকে নিয়ে আপনি উপকৃত হবেন; কখনোই ঠকবেন না।

এটা সত্যি যে, আমাকে কিছু একটা ঘ্রাস করেছে, ও এর ক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে এবং আমার বিবেচনায়, এটি এতোই ভালো যে, যা গ্রাম্য সাধারণ মানুষদের ব্রেনে ধরছে না। বরং তারা এটিকে অহংকারী সাব্যস্ত করেছে। আসলে আমি অহংকারী নই! বিষয়টা এখানে এতোই বিব্রতকর, লজ্জ্যাষ্কর ও বিশ্রী যে, একজন সম্মানী মানুষের দিকে তাকালেও, একদল বালক আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, এই বোধে যে, আমি ঐ সম্মানী মানুষটি থেকে নিজকে বড় মনে করছি! আসতাগফিরুল্লাহ!

অতএব, হে মহিয়ষী নারী আমাকে এখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান! দেখবেন, ইনশা'আল্লাহ, আমার দ্বারা জগতের উপকার হবে! এখানে একজন মানুষকে জীবীত মেরে ফেলার মতো ধান্দা করা হয়েছে! এখানে মানুষের সম্ভাবনাময় প্রতিভাকে হত্যা করার চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

এছাড়া আমি নিজেও যখন আল্লাহর বন্ধু বা অলি বা মানুষের সেবক হতে চাই; তাই অন্য কোন উপায় না দেখে, অথবা যে কোন উপায় অবলম্বন করতে গিয়ে, আপনার মতো একজন ধনবান বা মহিয়ান মেয়ে বা মহিলাকে বিয়ে করতে, আমি নিম্ন লিখিত শর্ত স্বাপেক্ষে, আপনার প্রতি প্রস্তাব প্রদান করেছি।

 বিয়ের প্রস্তাব এবং চেটিং ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইমো বা হোয়াটস এপে করতে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।

শর্ত সমূহ নিম্নরূপ-

১। যে কোন দেশের, ধর্মের, বর্ণের, সম্প্রদায়ের অবিবাহিতা অথবা ডিভোর্সি অথবা বিধবা এবং যে কোন বয়সের মেয়ে বা মহিলাগণকে অনুরোধ করবো যে, সত্যি যদি আপনি সৃষ্টিকর্তাকে আরো ভালোভাবে কাছে পেতে বা একান্তই আপন করে পেতে চান, তাহলে এ ধরনের আস্তিক/নাস্তিক যে কেউ আমার নিকট বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে পারেন। 

২। প্রস্তাব পাঠাবেন শুধুমাত্র ঐ সকল মেয়ে বা মহিলাগণ, যারা সঠিক ও সত্য সৃষ্টিকর্তাকে তালাশ করছেন এবং এ ধরনের মেয়ে বা মহিলারা যদি বুঝতে পারেন যে, আমার সাথে সত্যিই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহু তা'য়ালার দূত রয়েছে এবং বুঝতে পারার পর তখন তিনি ঈমান আনতে আগ্রহী, রাজি ও খুশি আছেন, তথা মুসলিম হবেন এবং ইসলামকে শতভাগ মেনেচলার প্রতিশ্রুতি দিবেন ও আমাকে পুরোপুরি মেনে চলবেন এবং আমাকে শ্রদ্ধা করবেন। আল্লাহর জন্য, তাঁর রাসূল (সাঃ) এঁর জন্য নিজ জীবনকে বিলিয়ে দিবেন। জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজ স্বামীর অনুগত থাকবেন। আল্লাহর ওয়াস্তে শুধু রাসূল (সাঃ) এঁর তরীকায় নিজ স্বামীর উপরে আর কাউকে নেতা মানবেন না, শুধু তাঁকেই অনুসরণ করবেন। আল্লাহ না করুক, দারীদ্রতা বা যে কোন ধরনের পরীক্ষা যদি প্রচন্ড ভাবে ঘ্রাস করে, তবুও তাকেই মেনে চলবেন। অর্থ বা দুনিয়ার কোন সুখ চেয়ে নিজ স্বামীকে অবহেলা করবেন না। জীবনের যে কোন কাজে তাঁকে মান্য করবেন এবং যে কোন অবস্থায়ই তাঁর নিকট থাকবেন বিনয়ী।  
এ ধরনের মেয়ে বা মহিলাগণ ব্যতিত আর কেউ চ্যাটিং করবেন না বা প্রস্তাব পাঠাবেন না।

৩। অল্প বয়সের যুবতী মেয়েদেরকে আমি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাগত জানাবো, তবে অল্প বয়সের যুবতী মেয়েদের প্রস্তাব যদি না পাই, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বেশি বয়সের, এমনকি বৃদ্ধা মহিলাদের প্রস্তাবেও আমি খুশি ও সন্তুষ্ট থাকবো।

৪।  সৌদি রমণী, বিশেষ করে মক্কায় অবস্থিত মসজিদে হারাম শরীফের নিকটবর্তী নারীদেরকেই আমি বেশি পছন্দ করবো, যেহেতু বিয়ে করা যদিও আমার উদ্দেশ্য হয়, কিন্তু এটিই আমার মূল উদ্দেশ্য নয়, যা আমি এ প্রবন্ধের শরুতেই বলেছি; আমার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মসজিদে হারাম শরীফে প্রবেশ করার মাধ্যমে ইবাদতে মশগুল হওয়া, অথবা এরচাইতেও উত্তম কোন কাজ থাকলে সেটি করা এবং পৃথিবীর অন্যান্য মানুষদের চাইতে বেশি সাওয়াব প্রাপ্ত হওয়া।  

আমি মনে করি মানবসেবায় বিজ্ঞানময় আবিষ্কার বা চিকিৎসা বিষয়ক আবিষ্কার অথবা মানুষের হাজত পূর্ণ করতে আত্মনিয়োগ; একজন মুমেনের জন্য জগতবাসীদের উদ্দেশ্যে এ ধরনের মানবসেবা ও গবেষণা মূলক কর্ম, মসজিদে হারাম শরীফে ২৪ ঘন্টা থেকে নামাজ-রোজা কিংবা অন্য যে কোন বড় ধরনের সহীহ্ ইবাদতের চাইতে আরো অনেক অনেক বেশি সাওয়াবের ইবাদত।

তাই পৃথিবীর মানুষদের সেবার লক্ষ্যে, কোন কিছু আবিষ্কারের প্রয়োজনে গবেষণা করতে যদি কোন ইংরেজ রমণী দ্বারা আমন্ত্রিত হই, তাহলে এ ইংরেজ রমণীকে আমি সবচাইতে বেশি পছন্দ করবো।

তবে সবকিছুর মূল হচ্ছে, আমার সাথে থাকা এ ফেরেশতা বা আল্লাহর দূত। যেহেতু আমার বিশ্বাস, তার বাড়িই হচ্ছে, মসজিদে হারাম শরীফ; তাহলে তিনি স্ব-সম্মানেই আশা করি আমাকে এ মসজিদে, তারমতো করে প্রবেশ করাতে সক্ষম হবেন। আর আমিও এটিই চাই।

৫। যেহেতু আমার প্রস্ফুটিত বা বিকশিত হওয়া প্রয়োজন, এবং যেহেতু আমি বাংলা, এবং কিছু ইংরেজী ছাড়া আর কোন ভাষা ঠিকমতো জানি না; তাই বাংলা ভাষা- ভাষী ছাড়া, যদি ইংরেজদের মধ্য থেকে বা আরবীয়দের মধ্য থেকে (যদিও আমি আরবী জানিনা, তবুও এটা আমার আত্মার ভাষা) বা ভারতীয় বা পাকিস্তানিদের থেকে, অথবা অন্য কোন ভাষা-ভাষী থেকে, যদি আমার ভাগ্য সু-প্রসন্ন হয়, তবে এ জাতীয় কেউ যদি প্রস্তাব পাঠান, তাহলে বিয়ের পরে অবশ্যই আমাকে সংশ্লিষ্ট ভাষাটি প্রথমে শিখাতে হবে।

(ইংরেজী যেহেতু আন্তর্জাতিক ভাষা, তাই এখন এ ভাষার কাউকে স্ত্রী হিসেবে পেলেই, মনেহয় আমার বেশি লাভ হবে। কারণ স্ত্রীর মাধ্যমে এ ভাষাটি ভালো ভাবে শিখতে পারলে, আমি আমার রবের পরিচয় হয়তো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবো। তবুও আল্লাহই ভালো জানেন, আসলে আমার ভাগ্যে কিছু আছে কিনা!)  এবং এ ত্যাগ আপনাকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে।

আর ম্যাসেঞ্জার বা ইমো বা হোয়াটস এপে আমার সাথে চেটিং করতে, শুধুমাত্র বাংলায় অথবা ইংরেজীতে চেটিং করুন; যেহেতু অন্য কোন ভাষা আমি জানি না। 

আমার সাথে চেটিং করতে ফোন খুব একটা দিবেন না। তবে উভয়ের পরিচয়, প্রতারণা এবং বেহুদা চেটিং বা পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রথমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভিড়িও কল দিতে হবে। 

চ্যাটিং এর ক্ষেত্রে ক্লিয়ার-কাট কথা-বার্তাই পছন্দ করি আমি। তাই কোন কিছু না লুকিয়ে এবং অযথা বক বক না করে প্রয়োজনীয় কথাটি বা মনের সবগুলো কথা বা বিয়ে পরবর্তী আপনার সকল ধরনের চাহিদা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন। 

মনেরাখবেন, বিয়ে, এটি কখনোই ছেলেখেলার বিষয় নয় যে, আজকে বিয়ে করবেন, কালকে ছেড়ে দিবেন, বা সংসারের মধ্যে ঝঘড়া-ঝাট্টি অব্যাহত রাখবেন।

আর যেহেতু ইনশা'আল্লাহ্ আমি রিয়েল ম্যান! তাই চ্যাটিং এর ক্ষেত্রে অশালীন কথা-বার্তা বা ব্যবহার; মিথ্যে কথা বা বেহুদা কথা-বার্তা অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

শুধুমাত্র যার সামর্থ রয়েছে এবং যিনি প্রকৃতই আল্লাহু তা'য়ালার বন্ধু হতে চান ও এ পুরো প্রবন্ধটি পড়েছেন, বুঝতে চেষ্টা করেছেন বা মেনে চলতে রাজী আছেন বা বিয়ে করার ক্ষেত্রে কারো নিকট থেকে কোন বাধা নেই এবং সত্যিই যার বিয়ের প্রয়োজন ও আমাকে পছন্দ হলে যিনি এ প্রবন্ধে লিখা শর্ত সমূহ মেনে একক সিদ্ধান্তে বিয়ে করতে পারবেন বা আমাকে উপযুক্ত কর্ম দিতে পারবেন; এ ধরনের একক সামর্থের অধিকারী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ ব্যতিত, আর কেউ দয়া করে আমার নিকট ফোন বা ম্যাসেজ দিবেন না এবং আপনি যদি আমাকে বুঝতে না পারেন, তবে দয়া করে কোনরূপ বাজে মন্তব্য করবেন না।

যে বা যারা পরিবারের অমতে বা পরিবার বা বংশের বাধায়, গোপনে বিয়ে করতে চান বা বিবাহিতা কেউ হলে, তাহলে দয়া করে আপনি বা আপনারা কোনরূপ কল বা ম্যাসেজ দিবেন না। (আমার এ সিদ্ধান্তটি শুধুমাত্র মুসলিম নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।

যেহেতু আমার ব্যস্ততা বা ব্যক্তিগত প্রাইভেসি রয়েছে! এবং মানুষ যেহেতু সমাজবদ্ধ জীব! আবার মানুষ যেহেতু যে যেমন, সে তেমন বুঝতে পায়! তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমার সাথে ম্যাসেজের মাধ্যমে চেটিং করুন। এবং প্রতি উত্তরের জন্য মাঝে মাঝে আপনাকে অপেক্ষা করতে হতে পারে!

প্লিজ, এতে আমাকে প্রতারক ভাববেন না! এ বিষয়ে আপনাদেরকে আবারো স্বরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আমি কোন প্রতারক নই! আর এ পোস্টটি আমি স্বজ্ঞানে বুঝে শুনেই দিয়েছি।

যেহেতু বাংলা ছাড়া আমি আর কোন ভাষা সহজ ও সাবলিল ভাবে বলতে পারি না। ইংরেজি কিছু কিছু পারলেও লিখার চাইতে ইংরেজীতে কথা বলতে আরো কম পারি। তাই চেটিং শুধুমাত্র বাংলা বা ইংরেজী ভাষাতেই করতে হবে।

ইংরেজীতে ম্যাসেজ প্রদানের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনে যেখানে সমস্যা হবে সেখানে গুগল ট্রান্সলেটরের সহযোগিতা নিয়ে ইংরেজীতে চেটিং অব্যাহত রাখবো ইনশা'আল্লাহ।

৬। ইনশা'আল্লাহ, আমি মনেকরি এবং আমার বিশ্বাস, আমার মাঝে কিছু সুপ্ত প্রতিভা ও সঞ্চিত শক্তি রয়েছে।

বুঝতেই পারেন, যে আল্লাহর দূত হবে, তার মানসিকতা বড় হবেই। কারণ ছোট বংশের কিংবা ছোট মনের মানুষ, কখনো আল্লাহর লোক হতে পারে না। ছাগলের বাচ্ছা যেমনটি শিংহ হতে পারে না; ঠিক তেমন। আর শিংহের মাঝেতো শিংহের মেঝাঝ থাকবেই।

ভালো করে মনে রাখবেন, আল্লাহর লোকদের এ মেজাজ কখনো, বাহুবলীয় বা বাকী দশ জন মানুষের মতো অর্থ-কড়ি বা দল বা বংশীয়; অথবা পশু তুল্য মেজাজ নয়। তারা কখনো নিজ গায়ের শক্তিতে সাফল্য পায় না বা চায়ও না। এটি পুরোটাই আল্লাহ প্রদত্ত ও মানব প্রেমিয়। 

তাদের অর্জন বা সাফল্য বা সাফল্যের শক্তি, কোথায় গ্রোথিত, তা সাধারণ মানুষ অনেক সময় বুঝতেও পারে না; বা কোন যুক্তি খুঁজে পায় না বা পাবে না তারা। 

তাই বাকি দশ জনের মতো এদেরকে বিবেচনা করা, আপনার উচিৎ হবে না বা এ রকম যদি করেন, তবে তিনি যে আল্লাহর লোক, এ বিষয়টি হয়তো আপনি বুজবেনই না, মানে হয়তো আপনি তাকে চিনবেনই না, বা ভূল বুঝবেন।

 আমি ভালো করে বুঝার চেষ্টা করেছি, আমার এ বড়ত্ব স্বভাব, এটি শয়তানী বড়ত্ব নয়। আল্লাহ্ বড়! সুতরাং তাঁর লোকদের মানসিকতা হবে বড়। এটি এরই ফসল এবং এটি স্বাভাবিকও বটে। বরং এ রকম স্বভাব না হলেই প্রমাণিত হতো, আমি আল্লাহর লোক নই!

তাই যিনি আমাকে বিয়ে করতে চাইবেন, বা এ উদ্দেশ্যে আমার সাথে চেটিং করবেন,  তিনি আমাকে আমার এ বৈশিষ্ট্যকে ভূল না বুঝে, আমাকে আমার মতো করে স্বাধীন ভাবে জীবন-যাপনের সুযোগ দিতে হবে ও বিষয়টি মেনে নিতে হবে। 

প্রকৃত পক্ষে আমি মানব প্রেমি, জনদরদী, উদার মনের, পিউর প্রকৃতির, হৃদয়বান, নরম ও কোমল প্রকৃতির আল্লাহ ভক্ত মানুষ। আমার এ স্বাধীন চেতা ও বড় মন মানসিকতা, যদি কেউ মেনে না নিয়ে বা ভূল বুঝে, আমাকে আপনার মতো করে চালাতে চান, বা আমার উপর প্রেসার ক্রিয়েট করেন বা করতে চান, তবে দয়া করে এ ধরনের মানুষেরা আমার সাথে যোগাযোগ করবেন না। 

আমাকে আল্লাহর লোক বুঝার পরে বা যদি বুঝতে পারেন; এর পরে অবশ্যই আপনাকে আমার নিকট নত হয়ে চলতে হবে। কোন ধরনের আপনার ইচ্ছা তাড়িত, বা অযুক্তিক প্রেসার ক্রিয়েট আমার উপর করা যাবে না। আর আমি অবশ্যই সকলের নিকট বিনয়ী থাকবো ও আপনাকে সম্মান করে চলবো।

কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে, তার নিজস্ব গতিতে চলতে না দেয়ার মানে হচ্ছে, তার প্রতি জুলুম করা। কারণ আল্লাহর লোকও হবে, আবার আপনার নিকট নত, মানে আপনার গোলামও হতে হবে, এটা যদি কেউ সত্যিকার আল্লাহর লোক হয়, তবে এটি তার দ্বারা কখনোই সম্ভব নয়। বরং এতে তার নিজস্ব স্বকীয়তা হারাতেই থাকবে।

আর আমার প্রতি এ ধরনের জুলুম যদি করা হয়, বা আমি যে আল্লাহর লোক, এটা বোঝার পরেও যদি আমাকে অযোগ্য মনে করা হয় বা আল্লাহ বিহীন আপনার বড়ত্বই যদি আমার উপর প্রাধান্য পায়, তবে আমার স্ব-বৈশিষ্ট্য হারাবেই, আমি এলোমেলো হবোই। তখন আমি আপনার বা আপনার সমাজের বোঝা ছাড়া, হয়তো আর কিছুই হতে পারবো না; বা এ অবস্থায় মানুষের কোন কল্যাণই হয়তো আমি করতে পারবো না। যেমনটি হয়তো আমার এখানে (আমার জন্মস্থানে, ফেনী, বাংলাদেশে), আমার প্রতি করা হচ্ছে বা হয়েছে।

প্রিয় আপু, এখানকার মানুষের মন-মোগজে আর ব্রেনে যে কী, আমি তা বুঝতে পারি না। আমার মতো একজন এডুকেটেড ম্যানকে যখন চক্রান্ত করে ও অপকৌশল করে নিজ ঘরে, নিজ বাড়িতে অপমান করা হয়, নীপিড়ন করা হয়, জুলুম করা হয় এবং যখন সকলের সক্রান্তে পরিবার সহ মানবেতর জীবন-যাপন করি আমি, ক্ষুত-পিপাসায় কাতর থাকি; তখন ঘরের বাহিরে দোকান কিংবা বাজার কিংবা মসজিদে আমি কীভাবে ভদ্রোচিত কথা বলতে পারি? বা ব্যবহার করতে পারি? (এ পর্যন্ত আমি শুধু সহ্য করেছি, কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করিনি) একই ভাবে এ পরিস্থিতিতে বাহিরের কোন একটি স্থানে যখন আমি মজলুম হই, তখন প্রয়োজনের তাগিদে অন্যস্থানে গেলে, বা বাড়িতে এলে আমি কেমন করে স্বাভাবিক আচরণ করতে পারি? আর আমার এ অবস্থাটিকে যদি মানুষেরা দোষ ধরে এবং দশ জনের কাছে আমাকে বেহুদা শুধু অনুমান আর ধারনা করে করে, যার যার জ্ঞান অনুযায়ী, খারাপ লোক হিসেবে উপস্থাপন করে; এটা আমার এলাকার এ লোক গুলোর জ্ঞান ও ঈমানের এ কেমন বহিঃপ্রকাশ!? তাহলে তারা কি ইচ্ছে করে আমাকে এ নীল নকশায় আঁটকিয়ে রেখেছে? কিন্তু কেন? আমার কাছে কী আছে এমন? দুনিয়াবী স্বার্থ ব্যতিত আমার পরিস্থিতি বুঝবে, এ জাতীয় লোক, আমি এখানে খুব একটা পাইনি বললেই চলে! এমনকি নিজ বউকেও পাইনি; তারও শুধু দুনিয়াতে বেঁচে থাকার ধান্দা ছাড়া, বাড়ির লোকদের সাথে গ্রুপিং করে সম্মানের সহিত বেঁচে থাকার আকুতি ছাড়া, তার নিকটও  আখেরাত খুব সামান্যই দেখতে পাই! মোট কথা এখানকার লোকদের জ্ঞান ও ঈমান হীনতাই আমার নিকট দৃশ্যমান হয়েছে। আমি জানি না, আমার রব মহান আল্লাহু তা'য়ালা ভবিষ্যতে আমার জন্য উৎকৃষ্ট কিছু রেখেছেন, বা রাখবেন, সে জন্যই কি আমাকে এসব সহ্য করাচ্ছেন বা অপেক্ষা করাচ্ছেন কিনা!

আমি জানি, নারীদের মন স্বভাবতই নরম, কোমল ও ভালোবাসাময় হয় এবং তারা মানুষের প্রকৃত মন বুঝতে পারে পুরুষদের চাইতে অনেক অনেক আগে। তাই আমার এ বিষয় গুলো মেনে নিয়ে, আমার এ সুপ্ত প্রতিভা ও সঞ্চিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য, কোন এক অজানা-অচেনা মহিয়ষী নারীকে; আমার প্রতি আহবান করতে, এবং ইনশা'আল্লাহ্, আল্লাহ প্রদত্ত একটা সম্পদের যাতে মৃত্যু না হয়, সে জন্যে, আমি তাকে উদার্ত ও বিনীত আহবান জানাচ্ছি। এবং এতে ইনশা'আল্লাহ, আমি আশা করি, আপনি আমাকে সৎ, বিশ্বস্থ ও আপনার মনের মতো জীবন-মরণ সাথী হিসেবে পাবেন।

৭। ইনশা'আল্লাহ! আমি আল্লাহু তা'য়ালার বন্ধু! আল্লাহু তা'য়ালার প্রকৃত এক দূত আমার সাথে থাকেন।  তাই যে বা যারাই আমাকে প্রস্তাব পেশ করতে চাইবেন, তাদের প্রতি আমার বক্তব্য এই যে, যেহেতু আমি আল্লাহু তা'য়ালার একনিষ্ঠ বন্ধু হতে চাই, তাই আমি থাকতে চাই সৌদি আরবের স্থায়ী নাগরিক হয়ে মসজিদে হারাম শরীফের ভিতরে। অর্থাৎ মক্কায় অবস্থিত মসজিদে হারাম শরীফে অন্তত নিয়মিত নামাজ আদায় করতে চাই।

তাই আমার ভাগ্যে যদি থাকে, তাহলে আপনি এমেরিকা থেকে হোক, কিংবা ইউরোপ থেকেই আমায় আহবান করেন না কেন, অথবা যে দেশ থেকেই আমাকে আমন্ত্রণ জানান না কেন, আমি যে আল্লাহু তা'য়ালার দূত, ইহা বুঝতে পরার পরে, তথা ঈমান আনার পরে, তথা আমাদের বিয়ের পরে আপনাকে অবশ্যই আপনার বর্তমানকার স্থায়ী ঠিকানা গুটিয়ে মসজিদে হারাম শরীফের নিকটে স্থায়ী ভাবে বসতি স্থাপন করতে হবে বা বসতি স্থাপন করার জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং এরূপ সামর্থবান হতে হবে। 

যেমন আপনি ব্যবসায়ী হলে, আপনার ব্যবসা হবে মক্কা কেন্দ্রীক এবং থাকবেন মসজিদে হারাম শরীফের নিকটে এবং নিয়মিত ইবাদত করবেন এ মসজিদেই। বা অন্য যে কোন উপায়ে হলেও আপনাকে মক্কার দিকেই ধাবিত হতে হবে।

আল্লাহু তা'য়ালাকে আপন করে পেতে চাইবেন, আর তাঁর ঘরে প্রত্যাবর্তনের স্থায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন না!? তা না হলে রবের কেমন বন্ধু হতে চান আপনি?

তাই আমি এ ধরনের প্রস্তাব আশা করছি যে, যিনি প্রস্তাব পেশ করবেন, তাহলে তাঁকে নিজ দেশ থেকে সবকিছু গুটিয়ে মক্কায় ব্যবসায়িক ভাবে হোক বা অন্য যেভাবে হোক, মসজিদে হারাম শরীফের নিকটে স্থায়ী আবাস গড়তে পারবেন, এ পর্যায়ের সামর্থ রাখেন এবং এ ধরনের ধনাঢ়্য মেয়ে বা মহিলাদেরকেই আমি খুঁজছি। 

দেখুন, যিনি আল্লাহু তা'য়ালার একেবারে নিয়ারেস্ট ও এক নম্বর বন্ধু হবেন, তিনি মক্কার মসজিদের বাসিন্দা হবেন, এটিই যুক্তি যুক্ত। 

তাহলে বুঝতেই পারছেন, আমি যাকে খুঁজছি, তিনি একদিকে যেমন হবেন অনেক উঁচু মানের ধনী অথবা কোন রাজকীয় পরিবারের সদস্য বা রাজকন্যা (আসলে আমার ভিতরে যে রয়েছে, সে রাজার মতোই। তাই যিনি আমাকে পাবেন, তিনি প্রকৃত ভাবে একজন বেহেশতি রাজাই পাবেন। ইনশা'আল্লাহ এতে কোন সন্দেহ নাই।); ঠিক অপরদিকে তিনি হবেন আল্লাহু তা'য়ালার উঁচু মানের একজন অলি বা আল্লাহু তা'য়ালার একজন প্রকৃত বন্ধু।

এখন কথা হলো এ ধরনের রমণী কর্তৃক যদি আমি আহবান না পাই, তাহলে কি আমি অন্তত সৌদি আরবকে, মানে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ), এঁনাদের পূণ্যভূমিকে একবার চোখের দেখাও দেখবো না!

হ্যাঁ, অবশ্যই চেষ্টা করবো, অন্তত যাতে একবার হলেও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর স্মৃতি বিজড়িত স্থান সমূহ দেখার যাতে সুযোগ হয় এবং সে ক্ষেত্রে কাজের উদ্দেশ্যে হলেও যদি কেউ মক্কায় অথবা মদিনায় পাঠায় বা পাঠাতে চায়। আমি তখন অন্তত সে আশায় থাকবো।

আর তাই উপরে উল্লেখিত এ ক্যাটাগরী গুলো কর্তৃক যদি আমন্ত্রীত না হই, তাহলে আমার মাতৃভূমি সহ যে কোন দেশের যে কারো আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে আমি প্রস্তুত রয়েছি। যেহেতু আমার প্রধান ও প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে, ঋণ শোধ করার এবিলিটি অর্জন করতে পারা।

আপনাদেরকে স্পষ্ট বলতে চাই যে, আমি আসলে বিয়ের জন্য দিওয়ানা হইনি বা আমার সাথে ফেরেশতা থাকার মিথ্যে অভিনয়ও করছি না।

আমি আল্লাহু তা'য়ালার দোস্ত হবো, আর তাঁকে পাওয়ার জন্য এবং আমার ঋণ পরিশোধের জন্য, যে কোন উপায় অবলম্বনের চেষ্টা করবো না!? তবে কিছুতেই যৌতুক আমি নিতে পারবো না। আমার চাহিদা হচ্ছে, যদি পারেন আমাকে উপযুক্ত কর্ম দিবেন।

আর যদি আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী কোন চেষ্টা তদবীরই না করি, তাহলে জীবনে কোন কিছু না পেলে, তবে ইন্তেকালের পরে মসজিদে হারাম শরীফের বাসিন্দা হিসেবে সাওয়াব পাবো কিভাবে বলুন!?

৮। ২০০১ সনে প্রথম যখন আমার সাথের এ ফেরেশতাটি আমার দেহে উদ্ভব হলো, সে থেকে এ পর্যন্ত মানুষ আমাকে চিনতে না পেরে তাদের বাধার কারণে হোক, বা আমি আমার আল্লাহ ওয়ালা অনুকূল পরিবেশ না পেয়ে নিজের কারণে হোক, আমি আমার প্লেসে এবং আমার এ পরিবেশে এখনো প্রকাশিত হতে পারিনি এবং পারছি না।

আমি স্পষ্ট বলতে চাই, হয়তো এটি আমার উপযুক্ত সমাজ ও পরিবেশ নয় এবং হয়তো এ কারণেও পারছি না। অথবা এমনও হতে পারে যে, আল্লাহর কোন এক গায়েবী কারণে হয়তো পারছি না; যার কারণ হয়তো কেবলমাত্র আল্লাহই জানেন।

দেখুন আমি পাগল কিংবা বোকা নই। আমার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সমূহ ভিজিট করলে আপনারা তা অনায়াসেই বুঝতে পারবেন।

এখানে, আমার জন্মস্থানে, আমি যে কর্মই ধরি না কেন, মানুষ আমায় না বুঝে হোক, কিংবা আমার অপ্রকাশ্যতা বা আমার নিজেরই আন সাপোর্টের কারণে হোক, অথবা শুধু রব জানে এ রকম কোন কারণে হোক, এখানকার বেশির ভাগ মানুষই  আমাকে সাপোর্ট দেয় না ও সমর্থন করে না, কেউ কেউ হয়তো আমাকে শত্রুই ভাবে; উপরুন্ত তারা আমাকে তাড়ানোর ধান্দা বা বিভিন্ন অমানবিক ও নির্যাতন মূলক প্রসেস করে বা আমার উপর তারা জুলুম করে ও আমার সাথে হিংসা বা শত্রুতা করে বা করে চলেছে। 

এর মূল কারণ হয়তো আল্লাহু তা'য়ালার প্রতি ঈমান এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা, জ্ঞান বিজ্ঞানের অভাব, এসবের ক্ষেত্রে হয়তো তাদের রয়েছে প্রচন্ড প্রচন্ড রকমের দূর্বলতা; অপরপক্ষে মূর্খতা, কূসংষ্কার, মানুষের প্রতি নিষ্ঠুরতা, পশুত্ব আচরণ ইত্যাদিতে রয়েছে হয়তো সেরকমই, হয়তো তার চাইতেও বেশী সবলতা।

আর এখানে আমার নিজেরও, একটি কাজেও মন বসে না। ফলে আজ আমি প্রায় অকর্মা, একেবারেই অর্থহীন এবং অনেকটা ইয়াতিম হয়ে গেছি। 

আজ আমার ও আমার স্ত্রী সন্তানদের পেটে ভাত নেই। ঠিকমতো তিন বেলা আমরা সম্মানের সহিত পেটভরে খেতে পারছি না। আমাদের পরনে ঠিকমতো কাপড় নেই।

তাই যদি ভাগ্যে থাকে, তাহলে কেউ যদি সবকিছু জেনেবুঝে প্রস্তাব পেশ করেন, তবে আশা করি তিনি আত্মমানবতার সেবক হিসেবেও পরিগণিত হবেন (ঠিক যেমন খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) এঁর মতোই; আমি মনেকরি মুসলিমদের যারা আজ ধনকূবের মানুষ, তাদের এ ধনের সূত্রও কিন্তু হযরত খাদিজা (রাঃ) এঁর থেকেই) এবং তাঁকে মানুষের সেবা করছেন ও আমৃত্যু করে যাবেন, এ নিয়তেই আমার সাথে তার বিয়ের প্রস্তাব পেশ করতে হবে। এবং কেউ যদি প্রস্তাব পেশ করেন, তবে তাঁকে জেনে বুঝেই তা করতে হবে। কারণ আমি যেমন শুধু আল্লাহু তা'য়ালার জন্য আপনার নিকট প্রস্তাব পেশ করছি বা আপনাকে আহবান করেছি, ঠিক আপনিও কেবল আল্লাহু তা'য়ালার জন্যেই প্রস্তাব পেশ করবেন, এটিই আমি চাই। এবং ভবিষ্যতে যাতে কোন ধরনের ভূলবোঝাবুঝি বা কোন ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি না হয়, আমি তা চাই। অর্থাৎ বিষয়টা এ রকম হবে যে, মূলত আপনি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন না, আপনার রব আল্লাহু তা'য়ালার সাথে একটা গভীর সম্পর্ক গড়ার জন্যেই আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন এবং এটিই আপনার মূল উদ্দেশ্য হবে। আপনার নিকট থেকে বিয়ের প্রস্তাবনা পাওয়ার মানে আমি এটিই মনেকরি এবং এটিই চাই।

৯। আমার নাম সৈয়দ আরিফ উল্যাহ। যদিও সার্টিফিকেট ও আমার এন আই ডি কার্ডে আরিফ উল্যাহ চৌধূরী দেখতে পাচ্ছেন। খুব সহসাই আমি আমার বাবার দেয়া চৌধুরী, এ বংশীয় পরিচয়টি বাদ দিয়ে, ইনশা'আল্লাহ আমি আমার মায়ের বংশ সৈয়দ, এ বংশে এফিডেভিট করবো। এবং এটি কেন, তা আপনারা আমার জীবনী পড়লে জানতে পারবেন। নিম্নে আমার জীবনী লিংক দেয়া আছে। এছাড়া jinmanb.blogspot.com এখানে টার্স করে বা এ লিখাটুকু গুগলে লিখে সার্চ দিয়েও বিষয়টি বুঝতে পারেন।   যদিও ব্লগটি বাংলায় লিখা রয়েছে।

আমার বর্তমান বয়স প্রায় ৪৭ বছর। যার সত্যতা আমার   info এর মধ্যে পাবেন। যার লিংক এ প্রবন্ধের সর্ব শেষের দিকে দেয়া আছে।

আমার গায়ের রং ফর্সা এবং উজ্জল। উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। ওজন প্রায় ৭২ কেজি।

আর আমার বংশ ইসলামের শেষ নবীর (সাঃ) আদরের কন্য হযরত ফাতেমা (রাঃ) এঁর বংশ। মানে নবীর (সাঃ) বংশই আমার বংশ।

১০। দেখুন ইসলামে স্বামীকে স্ত্রীর উপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এবং ইসলামে স্ত্রীর ভরন-পোষণ ও তার নিরাপত্তা দেয়ার সমস্ত দায়-দায়িত্ব স্বামীর উপর ন্যাস্ত।

 সে ক্ষেত্রে আমি স্বামী হয়ে, স্ত্রী হিসেবে আপনার সহযোগিতা নিয়ে চলবো, স্ত্রী থেকে অর্থ নিয়ে সংসার চালাবো, মানে স্ত্রীর নের্তৃত্বে চলবে একটি মুসলিম পরিবার, এটাতো হতে পারে না!

 ইসলামি শরিয়ততো এটি কখনো মেনে নিবে না! 

আর একজন সৎ পূরুষ কখনো এটি পারবেও না; যেহেতু পূরুষকে মহান রব সৃষ্টিই করেছে বড় মানসিকতা আর নারীর উপর তাকে ক্ষমতা দিয়ে।

পূরুষ ও নারীর সৃষ্টিগত এ প্রাকৃতিক অবস্থাটি এবং ইসলামি শরিয়ত যদি আপনি স্বীকার ও বিশ্বাস করেন, তথা যদি আপনি সত্যিই আল্লাহু তা'য়ালাকে আরো আপন করে পেতে চান, তবে আমাকে আপনি প্রস্তাব দিবেন কিনা তা চ্যাটিং এর মাধ্যমে আগে সিদ্ধান্ত নিবেন। এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর আগে উপর্যুক্ত কারণে প্রথমে আপনি আমাকে কর্ম দিতে হবে এবং বিয়ের পর যাতে আমি সংসারের নেতৃত্ব দিতে পারি এবং সংসারের আর্থ-সামাজিক বিষয়ে ও আমাদের সংসার সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কিছুর দায়-দায়িত্ব বহন করতে পারি; সে ব্যবস্থা করতে হবে।

আপনি এই করতে পারেন যে, আমাকে সম্মানজনক কর্ম দিয়ে [যেহেতু আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এঁর বংশের মানুষ, আল্লাহু তা'য়ালার দূত! এবং আপনার ভবিষ্যত স্বামী; তাই আমাকে যে কোন কর্ম দেয়া যাবে না] প্রথমে আপনি আপনার নিকটে এবং আপনার দেশে নিয়ে যেতে পারেন। পরে যদি বুঝতে পারেন যে, সত্যিই আমি আল্লাহু তা'য়ালার দূত, মানে ফেরেশতা! তখন আপনি আমার পিছনে ইনভেস্ট করতে পারেন।

এখানে, যদি কোন নারী এই মনে করেন যে, বিয়ের পর আমাদের সংসারের নের্তৃত্ব আপনি দিবেন। অথবা এই ভেবে যদি আপনি অন্তরে পুলক বা গর্বিত বোধ করেন যে, বা আপনার যদি অহমিকা সৃষ্টি হয় যে, আপনি আমার অশেষ উপকার করেছেন, আমাকে অর্থ-সম্পদ দিয়েছেন! আমার অসহায়ত্বে সহযোগিতা করেছেন! তাই আপনার স্থান আমার উপরে! আমাকে আপনার কথা শুনে বা মান্য করে বা বড় হিসেবে আপনাকে আমি রেসপেক্ট করে চলতে হবে, তবে এ ধরনের মন-মানসিকতা যদি কোন নারীর থেকে থাকে, তাহলে তার জন্য, আমাকে প্রস্তাব পাঠানোর কোন প্রয়োজন নাই।
আমি চাই না যে, আমাকে প্রস্তাব পাঠিয়ে, আমার উপকার করে আপনার দুনিয়া-আখিরাত দু'টিই বরবাদ হয়ে যাক।

অতএব যেই'ই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিবেন বা যদি কেউ দেন, তবে তাকে অবশ্যই প্রথমে আমাকে সম্মানজনক কর্ম দিয়ে ধন্য করতে হবে। 

আমি অর্থ-সম্পদে এবং পারিপার্শ্বিক অন্যান্য দিক দিয়ে উপযুক্ত হলে, কেবল তখনই আমায় বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারেন।

আপনি জানেন যে, আমি একেবারেই গরীব, শুধু ভাড়া দিয়ে আপনার কাছে আমি যাব, সেই টাকাও আমার কাছে নাই, তার উপর আমি ঋণী! বর্তমানে আমি এতোই গরীব যে, আমার ও আমার পরিবারের খাওন-পরনের টাকা পর্যন্ত অনেকটা আমার হাতে নাই!

 আর তাই, আপনি কর্তৃক প্রদান করা কর্ম করার জন্য আপনার দেশে যাওয়ার ভাড়া, ভিসা ও সংশ্লিষ্ট এবং আনুষাঙ্গিক সব ধরনের খরচ আপনাকেই দিতে হবে!

এখন কথা হচ্ছে ধরুন, এতো কিছু দিয়ে, আমাকে নিলেন, কর্ম দিলেন এবং আমায় বিয়ে করলেন; আবার নিজের দেশ-বাড়ি ছেড়ে দিয়ে মক্কায় আবাসন গড়লেন।

এই যে এতো কিছু করলেন, বা যদি কেউ করেন, আবার করলেনতো করলেন, নিজে আমার উপর একটু নেতৃত্বও দিতে পারলেন না।

তাহলে আমার পিছনে আপনি এতো কিছু ব্যয় করে, আমার জন্য আপনি এতো ত্যাগ স্বীকার করে, আসলে এতে আপনি পাবেন কী? আমার কাছে এতো কী রয়েছে যে, আমার জন্য আপনাকে এতো ত্যাগ করতে বলতেছি।

আমি আগেই বলেছি যে, আমার সাথে ফেরেশতা রয়েছে! মানে আল্লাহু তা'য়ালার কোন এক দূত রয়েছে! তাই এর প্রভাবে আশা করা যায়, আমার পিছনে আপনি ব্যয় করে, ত্যাগ স্বীকার করে ইনশা'আল্লাহু তা'য়ালা আপনি আল্লাহু তা'য়ালার নিয়ারেস্ট বন্ধু হতে পারবেন!

 আর দেখতেই পাচ্ছেন, আমিওতো সেই আল্লাহু তা'য়ালাকে পাওয়ার জন্যেই বেহায়ার মতো, আপনাদের নিকট অনেকটা অর্থ ও কর্ম ভিক্ষা চাচ্ছি! আপনাকে বিয়ে করতে প্রস্তাব পাঠাচ্ছি! এবং আপনাকেও বলছি প্রস্তাব পাঠাতে! 

আপনাকে আশ্বস্থ করে বলছি যে, ইনশা'আল্লাহ আপনি আমার মতো একজন, সহজ সরল বুদ্ধিদীপ্ত, সৎ ও বিশ্বস্থ জীবন-মরণ সাথী পাবেন। যে সব সময় আপনার সুখের কথা ভাববে। জীবনে মরণে, আপনার সুখে-দুখে, আপনার পাশে থাকবে। আপনাকে সুখে রাখতে চাইবে। আপনার ব্যবসা-বাণিজ্যের সক্রীয় ও বিশ্বস্থ সহযোগী হবে।

আমার এ পুরো প্রবন্ধটি পড়লে, আপনার কি মনে হবে বা হতে পারে (?), আমি যৌন স্বার্থে আপনার নিকট বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছি!? অথবা এ প্রস্তাব কি আমি ধনবান হওয়ার জন্য? ভিক্ষা করার জন্য? নাউজুবিল্লাহ! এদেশে কি আমার ভাত নাই!? আমি কি এতোই অযোগ্য মানুষ যে, আপনার কাছ থেকে ভিক্ষা করার জন্য, অশরীরী কেউ একজন আমাকে হাত-পা গুটিয়ে বসিয়ে রেখেছে!? অথবা পৃথিবীতে আমি যাতে কিছুকাল সুখে থাকি সেজন্য এ সব করছি বলে কি আপনার মনে হয়? অথবা আমাকে কি পাগল বলে মনে হয়, আপনার বা আপনাদের?

যদি এরূপ কারো মনে হয়, তবে দয়া করে, আমাকে এ ধরনের কেউ প্রস্তাব পাঠাবেন না এবং কেউ অযথাই এসব নিয়ে আমাকে সমালোচনা করে আমাকে অপমান করবেন না।

আমি করজোড়ে ক্ষমা চাচ্ছি আপনাদের এ জাতীয় মানুষদের সকলের নিকট।

দুনিয়াতে আল্লাহু তা'য়ালাকে আপন করে পাওয়া, একি আপনার-আমার মহা-সাফল্য নয়!?

তাহলে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহু তা'য়ালাকে পাওয়ার জন্য, আপনাকে-আমাকে আর কী কী ত্যাগ স্বীকার করতে হবে, তা আপনি কি জানেন (?) বা ভেবেছেন এ বিষয়ে কিছু? এবং এ ত্যাগ স্বীকার করা, একি অনেক বড় কিছু হয়ে গেলো তাহলে!

তাই আপনার উচিত হচ্ছে, আসলে আমার সাথে আল্লাহু তা'য়ালার দূত বা ফেরেশতা রয়েছে কিনা তা যাচাই করা!

এবং যদি বুঝতে পারেন যে, আমার সাথে আল্লাহু তা'য়ালার দূত বা ফেরেশতা রয়েছে, তাহলে আমি মনে করি, আমার পিছনে ত্যাগ স্বীকার করে, আমার পিছনে ইনভেস্ট করে, আপনি ঠকবেন না ইনশা'আল্লাহু তা'য়ালা।

ওহে দুনিয়ার মানুষ! পৃথিবীতে কি একটি মানুষও নাই, যে আমাকে রবের দূত কিনা তা বুঝতে চাইবে!? এবং বুঝতে পারলে আমাকে আমার রবের ঘরে পৌঁছিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করবে!? 
আল্লাহু তা'য়ালা কি দূনিয়াতে একজনকেও ধন দেননি যে, তাঁর দূতকে তাঁর ঘরে পৌঁছিয়ে দিতে পারে!? 

আমাদের সবাইকে যেমনটি পৌঁছিয়ে দিতে অবদান রেখেছিলেন, আমাদের আম্মাজান হযরত খাদিজা (রাঃ)।
ওগো পৃথিবীর মানুষ! আমাকে একটু দয়া করো! প্লিজ, তোমরা আমাকে আমার রবের ঘরে পৌঁছিয়ে দাও! কেন (?), তোমার ভাতিজাকে যদি আনসুইটেবল স্থানে পাও, তাহলেতো তাকে তোমার ভায়ের ঘরেই পৌঁছিয়ে দাও; অথচ আমাকে আল্লাহর দূত চেনার পরেও, আমাকে শুধু তোমরা হত্যা করতে চাও! এ কেমন তোমাদের বিচার! এ কেমন তোমাদের আচরণ! এ রকম পার্থক্য কেন তোমাদের? 
সব কিছুর মূল বুঝি স্বার্থ! স্বার্থ বুঝি আখিরাত মূখী না হয়ে, শুধু  দুনিয়ামুখী হয়েছে তোমাদের!?
যাক, তোমাদের দোষ ধরতে চাই না আমি আর!

এখানে আমি নারীদের প্রতি আহবান করেছি এ জন্য যে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এঁর হাতে যিনি প্রথম ইসলাম কবূল করেছিলেন, ইসলামের জন্য যার দান রাসূলুল্লাহ (সাঃ) প্রথম গ্রহণ করেছিলেন তিনি ছিলেন নারী, তিনি ছিলেন মহিয়ষী নারী (রাঃ)!

তেমনি আমিও সুন্নাতের সহিত মিল করেই নারীদের নিকট কর্ম চেয়েছি এবং আহবান করেছি তাঁদেরকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে!

গোটা পৃথিবী জুড়ে কি, ধনবান একটি নারীও নাই! যে আসলে আল্লাহু তা'য়ালার বন্ধু হতে চায়!? এবং এ জন্যে সহজ পন্থা হিসেবে আমাকে ট্রাই করতে চায়!? ও আমাকে বিয়ে করতে চায়!? আজ থেকে এ ধরনের নারীদের থেকে বিয়ের আমন্ত্রণ পাবো, আমি সে আশাতেই থাকলাম!

১১। যেহেতু আমাকে যে প্রস্তাব দিবে, বা যদি কেউ দেয়, তবে যেহেতু সংসারটা তার, মানে পাত্রীর, এবং এটা কোন ছেলে খেলা না, এটা তার নিজের জীবন, এবং যেহেতু এখানে পাত্রীর নিজকে ধনবান হতে হবে। কারণ আমাকে আমার দেশ থেকে নিয়ে কর্ম দেয়া বা প্রতিষ্ঠিত করার বিষয়টি এখানে জড়িত; আর তাই যুক্তিগত ভাবে পাত্রীর  নিজস্ব নামেই থাকতে হবে পাত্রীর নিজের স্বাধীন ও বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ। অথবা পাত্রীকে হতে হবে কোন রাজকীয় সন্তান মানে রাজকন্যা বা কোন বিধবা বা ডিভোর্সী রাজরাণী অথবা কোন এক রাজপরিবারের সন্তান অথবা প্রচুর পরিমাণ অর্থ-সম্পদের মালিক; যা আমার প্রথম পছন্দ। তাই আমার সাথে চ্যাটিং করতে হবে পাত্রী নিজকে।

যেহেতু ইহা পাত্রীর নিজের জীবন। তাই পাত্রী নিজে রাজি, খুশি ও সন্তুষ্ট থাকলে, কেবল তখন, তার কোন নিয়ারেস্ট গার্ডিয়ানকে বলতে হবে। 

যেহেতু পরবর্তীতে বিয়ে গ্রহণযোগ্য ও শুদ্ধ হওয়ার জন্যে ইসলামী শরিয়ত ও সামাজিক, ঝুঁকিমুক্ত এবং নিরাপত্তামূলক বিয়ের নিয়ম অনুযায়ী পাত্রীর পক্ষে তার কাবিন নামায় স্বাক্ষীর স্বাক্ষর লাগবে এবং আমাদের এ বিয়ে হতে হবে প্রকাশ্যে। 

তবে যদি এমন হয় যে, মুসলিম হয়ে গেলে নিজ স্ব-জাতি দ্বারা জুলুমের স্বীকার হতে পারেন, এ ভয় থাকে, তাহলে অবশ্যই যে কোন গোপন যোগোযোগ আমি পছন্দ করবো। 

আবার সর্বাবস্থায় এবং সর্বক্ষেত্রে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, বংশীয় ও জাতিগত প্রাইভেসি অবশ্যই রক্ষা করা ও এ জন্য প্রয়োজনীয় গোপনীয়তা নীতি অনুযায়ী আমার সাথে চেটিং করতে আমি পাত্রীকে বা পাত্রী পক্ষীয় লোকদেরকে সর্বদা আমি উৎসায়িত করবো ও পরামর্শ প্রদান করবো। 

এবং একই ভাবে আমার কাছ থেকেও আমার এ জাতীয় ব্যবহার বা আচরণ পাত্রী বা পাত্রী পক্ষ যেন বুঝতে পারেন, তার বা তাদের কাছ থেকে আমিও এরূপই আশা করছি।

আবার আপনাদেরকে বুঝতে হবে, আমি পূরুষ মানুষ, কাজ ও বিভিন্ন ব্যস্ততা এবং প্রাইভেসীর কারণে উপস্থিত পাত্রী পক্ষের কারো চেটিং এর উত্তর তাৎক্ষণিক ভাবে হয়তো দিতে পারবো না। 

তাছাড়া আমি গরীব মানুষ। বর্তমানে একটি পুরানো এন্ড্রয়েড় ফোন ছাড়া যোগাযোগ করার মতো আমার কাছে আর কোন ডিভাইস নেই। ফলে কখনো কখনো পাত্রীর বা পাত্রী পক্ষের যে কারো উত্তর প্রদান করতে আমার বেশ সময় লাগতে পারে। বিষয়টা সবাইকে বুঝে নিতে হবে।

অন্যদিকে, দেখুন, কোন গোপন বিয়ে আমি করবো না। 

তাই পাত্রী যেমন কোন গোপন বিয়ে করার জন্য আমার সাথে চেটিং করবেন না, ঠিক তেমনি, কোন গার্ডিয়ানও তার পক্ষীয় পাত্রীকে না জানিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ বা চ্যাটিং করতে চেষ্টা করবেন না।

আমি চাই ইসলামী ও জাতীয় আইন সম্মত এবং প্রকাশ্য ও সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য একটি সম্মানযোগ্য বিয়ের অনুষ্ঠান। যা ইতিহাসের পাতায় লিখে রাখা যাবে এ রকম।

 ১২। উপরে আমি বলেছি, আমাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে হলে, পাত্রী বা পাত্রী পক্ষকে আমাকে তার দেশে নিয়ে গিয়ে কর্ম দেয়ার প্রয়োজন হবে।

অথবা আমার পিছনে অনেক বেশি ইনভেস্ট করার আগে অনলাইনে আপনার কোম্পানীর কিছু কাজ দিয়ে আমাকে প্রাথমিক ভাবে যাচাই করতে পারেন।

 তথ্য প্রযুক্তি আজ এতোই উন্নত যে, আমাকে শুধু আমার দেশে রেখেও এবং শুধু অনলাইনে কাজ দিয়েও আপনি আমাকে শতভাগ না হলেও মোটামুটি যাচাই করতে পারেন এবং বুঝতে পারেন যে, আমার যোগ্যতা ও আমার বৈশিষ্ট্য কী? 

এবং আমি মনে করি, আমাকে আপনার দেশে নেয়ার আগে, এ পদ্ধতি অবলম্বন করাই বেস্ট হবে।

তবে আমি স্পস্ট বলতে চাই, আমি যতটুকু বুঝতে পেরেছি, এতে আমার মনে হয়েছে, আমার সাথে থাকা এ অশরীরী অনুজীবটির আবাসস্থল সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদে হারাম শরীফ।

তাই আমি হয়তো এখানে প্রকাশিত হতে পারছিনা এবং এ কারণে কোন কাজেই হয়তো আমি এখানে সাকসেস হতে পারছি না। বা আমাকে এখানকার মানুষ, আমার যথোপযুক্ত সাপোর্ট বা উপযুক্ত মান-সম্মান দিচ্ছে না বিধায় আমি এখানে পারছি না। আর তাই আমার মনে হয়, আমাকে পরিপূর্ণ সাকসেস হতে হলে, সৌদি আরবের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে মক্কায় চলে যেতে হবে বা যাওয়ার প্রসেসিং করতে হবে। অন্তত এ বিষয়ে চেষ্টা থাকতে হবে। 

যথোপযুক্ত সম্মান ও মক্কায় যাওয়ার প্রচেষ্টা বা না যাওয়ার যুক্তিময় কোন কারণ যদি থাকে, তাহলে হয়তো পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই আমি সাকসেস হতে পারবো।

এখন কথা হচ্ছে, আপনি আমায় কী কর্ম দিবেন? আমার যোগ্যতা কী? আমাকে কোন্ ধরনের কর্ম দিলে আমি তা করতে পারবো? বা আমি কেমন ব্যক্তিত্বের মানুষ? বা আমার গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্যইবা কী? এসব কিছু পাত্রীকে বা পাত্রীর অভিভাবককে বুঝতে হবে।

এ বিষয়ে আমার কথা হচ্ছে, আমাকে এখানে অনলাইনবেস ফেসবুক মার্কেটিং বা ডাটা এন্ট্রি বা ভিডিও এডিটিং এর কাজ দিতে পারেন, এ কাজগুলো মোটামুটি আমি ভালো পারি বা করতে করতে আরো ভালো পারবো। 
এবং আমার সাথে ভিডিও বা ওডিও কলে কথা বলতে পারেন। 

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমি আরবীতে কথা বলতে একেবারেই পারিনা। আর কিছু কিছু ইংরেজী জানলেও সাবলীল কথা বলার জন্য তা যথেষ্ট নয়, যেহেতু আমি অভ্যস্ত নই। 

অপরদিকে আমি কারো না কারো চাকরী করি বা করবো। চাকুরীরত অবস্থায় কারো সাথে বেশি কথা বলা বা অন্তরঙ্গ কথা বলা, এটা মালিক পক্ষ মেনে নিবে না বা আমি নিজেও মানবো না। এছাড়া আমি হয়তো থাকবো আবাসিক মাদ্রাসায়। মানে হয়তো ২৪ ঘন্টা মাদরাসার ভিতরে। বা মাদরাসায় না থাকলেও দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়তো কর্মস্থলে থাকবো।

আবার সব সময় সাদা মন নিয়ে চলার কারণে বা আমার ভিতর একটা ফেরেশতা বা আল্লাহু তা'য়ালার কোন এক অনুজীব থাকার কারণে, মানুষ এমনিতেই থাকে আমার প্রতি স্পর্শ কাতর হয়ে বা মানুষ অতিরিক্ত ফলো করে আমাকে।
তাছাড়া এতো প্রেমের সুড়সুড়ি মার্কা বা আবেগি ধাচের অতিরিক্ত কথাবার্তা বলতে আমি পারিনা বা এসবে আমি অভ্যস্ত নই। 
সাধারণত আমার কথা-বার্তা ক্লিয়ার-কাট। 
তাহলে আপনি আমায় যাচাই করবেনটা কিভাবে?
হ্যাঁ, আপনি আমার সাথে লিখিত ভাবে চ্যাটিং করতে পারেন এবং সময়ানুযায়ী মাঝে মাঝে অডিও কলে এবং মাঝে মাঝে ভিডিও কলে কথা-বার্তা বলতে পারেন।
এবং অনলাইনে আমার প্রচুর প্রবন্ধ-নিবন্ধ আছে, সেগুলো পড়তে পারেন।  বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া সহ আমার  ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও রয়েছে, সেগুলো দেখতে পারেন।
আমার আত্মজীবনী ও ইনপো সহ অন্যান্য ব্লগ পড়তে পারেন ও দেখতে পারেন এবং আমার ওয়েবসাইট ar900.com ভিজিট করতে পারেন। (অর্থের অভাবে এ ওয়েবসাইটটি হয়তো কিছু দিনের মধ্যে বন্ধ করে দিতে পারি)।
আর এ সব কিছু নিয়ে যখন গবেষণা করবেন, তখন আশাকরি ইনশা'আল্লাহ আমায় বুঝতে আপনার বাকি থাকবে না। 
তখন একপর্যায়ে আপনি নিজ থেকেই হয়তো বলবেন যে, ইনশা'আল্লাহ আমি কোন মিথ্যুক বা প্রতারক নই। আপনি কোন জুলুমবাজ বা ঠকবাজ বা অমানুষকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাচ্ছেন না বা কর্ম দিচ্ছেন না।
তবে আপনি যদি ধনবান ও এ প্রবন্ধে লিখিত বর্ণনা মতে, আমার বিবৃতি মোতাবেক উপযুক্ত না হন অথবা একনিষ্ঠ সত্যের সাধক না হন বা নিরেট সত্যনিষ্ঠ জীবন-যাপন করতে না চান, বা সত্যের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি না থাকেন, তাহলে প্লিজ অযথা আমার সাথে চ্যাটিং করতে যেয়ে আমাকে কষ্ট দিয়েন না এবং নিজেও কষ্ট পাইয়েন না।
 এখানে আপনাদেরকে আমি জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে আমার কম্পিউটারটি নষ্ট হয়ে আছে। পুরোনো একটি এন্ড্রয়েড ফোন ছাড়া আমার কাছে আর অন্য কোন ডিভাইস নাই।
আমার এখানকার অফিসটি আপনারা ইউটিউবের মাধ্যমে দেখতে-

এবং পরবর্তীতে আমার যদি কোন মাদরাসায় চাকুরী হয়, তবে আমি হয়তো সেখানেই থাকবো। আর আপনারা জানেন মাদরাসায় নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত বা গোপনীয় ভাবে ছাড়া, সাধারণত কোন মেয়ে মানুষের সাথে চ্যাটিং করা বা কথা-বার্তা বলা বা অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করা, এটি সম্ভব নয়। অন্যকোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি হলে সেখানেও প্রায় একই নিয়মই প্রযোজ্য হবে।
 আমাকে বোঝার সুবিধার্থে, আপনাদেরকে আমি আরো জানাচ্ছি যে, আলহামদুলিল্লাহ! আমি শিক্ষিত, মার্জিত, রুচিশীল ও ভদ্রোচিত মানুষ।
আমি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ এবং নূরানী ট্রেনিং প্রাপ্ত। 
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ আমি ডিপ্লোমা ধারী হলেও ইনশা'আল্লাহ্ আমি অপ্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ধর্মীয় জ্ঞানে সমৃদ্ধ। অবশ্য ইচ্ছা আছে, ভবিষ্যতে যদি আল্লাহ তাওফিক দেয়, তবে অনলাইন বা অফলাইন মাদরাসায় ভর্তি হয়ে আলেম হবো। যেহেতু আমার বয়স বেশি হয়ে গেছে, তাই কাভার দিতে পারবো না মনে করে, আমি হাফেজ হওয়ার আশা এখন প্রায় ছেড়ে দিয়েছি। আগে হাফেজ হবো এ আশাও ছিলো আমার।
খুব ভালো ভাবে আমি হিসাব রক্ষণ, অফিস ম্যানেজমেন্ট এবং ব্যবসা পরিচালনা, এ কাজ গুলো করতে পারবো ইনশা'আল্লাহ।
তবে ইংরেজী এবং আরবী ভাষায় কথা বলা আমাকে ভালোভাবে শিখতে হবে।  ইংরেজীতে কথা বলা অবশ্য এখনো কিছুটা পারি এবং লিখতে আরো একটু ভালো পারি।
তবে ধ্যান-ধারনা আমার অনেক উচ্চ। আলহামদুলিল্লাহ! ব্যবহার আমার অনেকটাই রাজকীয় বংশীয় এবং ধনী প্রকৃতির। আমি শান্ত-শিষ্ঠ, চুপ-চাপ প্রকৃতির ভদ্রোচিত মানুষ।
ইনশা'আল্লাহু তা'য়ালা আমি সব সময় অহিংসুক ও নিরঅংকার থাকতে চেষ্টা করি এবং যে কোন মানুষ আমার ব্যবহারে খুশি হবে আশা করি।
১৩। এখানে আরো একটি বিষয় ক্লিয়ার হয়ে যাক। যদিও কথাগুলো লজ্জত বিষয়ক। তবুও বলছি, আমি আমার মহান রবের কাছে বার বার দোয়া করছি এবং করে যাচ্ছি, হযরত ঈমাম মাহাদী (আঃ) যেন আমার বংশে আগত হন এবং আমার বংশটি যেন হয়, হাফেজ ও আলেমে ভরপুর বংশ। এ জন্য আমার মানুষ প্রয়োজন। আবার এটি ১০০% সত্য যে, যে কোন মানুষের জন্য, জীবনে এবং মৃত্যুকালে পৃথিবীতে রেখে যাওয়ার জন্য, মানুষের চাইতে বড় কোন সম্পদ এ দুনিয়ায় আর নেই। তাই আমার মানুষ প্রয়োজন। 
আর এ জন্যেই উপরে আমি বিয়ে করার জন্য বা আমাকে আমন্ত্রণ পাঠানোর জন্য অল্প বয়সের, মানে যুবতী মেয়েদেরকে প্রাধান্য দিয়েছিলাম।
আর এ জন্য প্লিজ, আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আমার এ কথা গুলোর অর্থ কেউ নেগেটিভ ভাবে নিবেন না বা আমাকে কেউ নেগেটিভ মনে করবেন না।
আপনারা যে যাই মনে করেন না কেন, অল্প বয়স থাকতে যদি আমার এ বুদ্ধি হতো এবং আমার ধ্যান-ধারনা যদি আল্লাহমূখী হতো, তাহলে আমি হয়তো ৪ বিয়েই করতাম। আর এখন যদি না পারি, হয়তো পারবো না; তাহলে অন্তত, আল্লাহু তা'য়ালা যেন আমায় সাওয়াব প্রদান করেন, এটিই এখন আমি চাই। তা না হলে, এ বিষয়ে প্রায়চিত্ত করার সুযোগ আমার কই!?
অতএব, এটা স্পষ্ট যে, আমার মূল ইচ্ছা, আখেরাতে আমার মর্তবা অনেক অনেক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হওয়া।
আবার এর অর্থ এই না যে, আমি সাওয়াবের টেকনিক বা অভিনয় করছি। ইনশা'আল্লাহ! আশাকরি শুধু আমার এ প্রবন্ধটিই একটি সাওয়াবের পুঞ্জি। যেহেতু এটি রিয়েল!
আমার উদ্দেশ্য কখনোই সেক্সুয়াল নয়; নারীদেরকে আমাকে আহবান করতে বলা, এটা নারীদের মতোই শুধুই আমার মানসিক চাহিদার উপর নির্ভরশীল একটি বিষয়। বিষয়টা আশা করি আপনারা বুঝতে সক্ষম হয়েছেন। তাই আমাকে বেডমাইন্ড করে আশাকরি কেউ মানসিক যন্ত্রণা দিবেন না।
আমার বার বার মনে হয়, আমার এতো কাইটিরিয়ার মাঝে আসলে আমি কি কোন নারীর আহবান পাবো!? ইনশা'আল্লাহু তা'য়ালা কোন নারীর আহবান পাই আর না পাই, আশাকরি, শুধু এ লেটারটি লিখে নির্লজ্জ্যভাবে এভাবে আমার পার্সোনাল বিষয় গুলো প্রকাশ করার কারণে অনেক অনেক সাওয়াবের অধিকারী হবো।
সুতরাং আমার এ লিখার একটি কথাও কেউ মিথ্যা ভাববেন না। আর সাধারণত আমি কোন মিথ্যা কথা বলি না। বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা করবেন।
১৪। যদিও আপনারা অনেকে এভাবে বলাকে পছন্দ করেন না, তবুও মাইন্ড করবেন না, একটা কথা আমি আপনাদেরকে ক্লিয়ারলি ভাবে বলতে চাই, যদি আমাদের এ দাম্পত্য জীবনে কোন সন্তান হয়, তবে আমাদের ছেলে মেয়ে উভয়কে প্রথমে হেফ্জ মাদরাসায় ভর্তি করাতে হবে এবং এরপর কাউমি আক্বীদায়, সুন্নাতি লেবাস আছে, এ রকম মাদরাসায় আলেম হওয়ার জন্য ভর্তি করাতে হবে। এমন বলা যাবে না যে, শুধু ছেলেদেরকে ভর্তি করাবো, মেয়েদেরকে অন্য পড়া পড়াবো।
অথবা এরূপও বলা যাবে না যে, মাদরাসায় গরীবেরা পড়ে, এখানে ভর্তি করাবো না। 
এক কথায় আমাদের ছেলে মেয়ে উভয়কে হাফেজ ও আলেম বানানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে হবে। অন্য কোন লেখাপড়া নয় এবং কোন অবস্থাতেই নয়।
 এ বিষয়ে খাঁটি নিয়ত ও প্রচেষ্টা, আপনারা যারা আমায় আমন্ত্রণ জানাবেন, বা যদি কেউ আহবান করেন, তবে তার বা তার অভিভাবকের থাকতে হবে।
এর বিপরীত মানসিকতার নারী বা তার কোন অভিভাবককে, আমাকে আহবান করার, বা বিয়ের উদ্দেশ্যে চ্যাটিং করার কোন প্রয়োজন নাই বা এ ধরনের কেউ আমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করবেন না।

১৫। আমি বিবাহিত। আমার এক স্ত্রী, তিন মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। আমার সন্তানেরা এখনো প্রায় সবাই শিশু। যা আমার আত্মজীবনী ও ইনপো থেকে ভালোভাবেই জানতে পারবেন।
(যার লিংক নিচে দেয়া হয়েছে)

এখানে একটি কথা না বললেই নয়; আসলে আল্লাহ ওয়ালা, ন্যায়পরায়ন ও চরিত্রবানদের জন্য, একাধিক বিবাহ, ইহা নারীদের জন্য, কোন সমস্যা না; নারীদের জন্য প্রধান সমস্যা হচ্ছে, স্বামী দূঃচ্ছরিত্রবান হওয়া। স্ত্রীরা যদি ন্যায় পরায়ন ও বন্ধু সুলভ হয়, তবে বোনের মতো আরেক সতীন বোন পাশে থাকাতো ভালো হওয়ারই কথা ছিলো।

তবুও যদি আপনি একান্তই না চান, তবে আমার এ স্ত্রী এ দেশেই বা এ বাড়িতেই থাকবে। তার জন্য কি আমার সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করতে চেষ্টা করবো না? না, আমি মসজিদে হারাম শরীফে যেতে চাইবো না!? এবং একদিকে ভালোই হবে যে, এর সুবাধে আমি আমার জন্মস্থানে আসার প্রয়োজন থাকবে। 

আর ফাইনালী ভাবে আপনাদেরকে একটি কথা জানিয়ে দিতে চাই; যেই আমাকে প্রস্তাব পাঠাতে চান, বা যদি কেউ পাঠান, তবে তাকে অবশ্যই ১৬ আনা ইসলাম, মানে ১০০% ইসলাম মেনে চলতে হবে। শরিয়তের কিছু আইন বা মাসআলা মানবেন; আর কিছু আইন মানবেন না, এগুলো নিজেদের মন ও মর্জি মোতাবেক মানবেন; এ রকম নারী বা নারীর অভিভাবকগণ ঘূর্ণাক্ষরেও আমাকে কোন ধরনের প্রস্তাব পাঠাবেন না বা আমার সাথে চ্যাটিং করার চেষ্টা করবেন না। 
এবং প্রস্তাব পাঠাবেন বা এ লক্ষে চ্যাটিং করতে চেষ্টা করবেন, আমার এ প্রবন্ধে লিখিত, শুধুমাত্র এ কাইটেরিয়ার নির্দিষ্ট নারী বা নারীর অভিভাবকেরাই। অন্য কেহ নয়। কথাটা ভালো করে মনে রাখবেন সকলে।

আগে এ প্রবন্ধটি ভালো করে পড়বেন এবং বুঝতে চেষ্টা করবেন আসলে আমি কী চাই ও কেন চাই এবং সে অনুযায়ী আপনি উপযুক্ত কিনা (?); যদি তখন নিজকে উপযুক্ত বলে মনে হয় এবং নিজের জন্য, আমার জন্য ও মানুষের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে, ভালবাসতে, নিজকে যদি স্বামর্থবান মনে করেন ও এ বিষয়ে যদি রাজী ও খুশি থাকেন, কেবল তখনই আমাকে প্রস্তাব পাঠাতে চেষ্টা করবেন বা চ্যাটিং অব্যাহত রাখবেন; নতুবা নয়।

সবকিছুর সার সংক্ষেপ হিসেবে, সকলের জ্ঞাতার্থে, আমার এ প্রবন্ধটি লিখার বা আমি আরেক বা আরো বিয়ে  করতে চাওয়ার উদ্দেশ্য গুলো গুরুত্বের গভীরতা অনুযায়ী ক্রমানুসারে নিম্নে তুলে ধরলাম-

১। আমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহু তা'য়ালাকে আরো আপন করে পাবো, আমি তাঁর বন্ধু হবো বা হতে পারবো; এ নিয়তে। যেহেতু এ বিয়ের মাধ্যমে আমি মসজিদে হারাম শরীফে নিয়মিত ইবাদত করার প্রচেষ্টা ব্যক্ত করেছি।

২। আমার বংশ, সৈয়দ বংশ। এর যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারবো; এ আশায়।

৩। আমার উচিলায় বা আমার প্রচেষ্টায় এক বা একাধীক মানুষ হয়তো নরক থেকে বাঁচতে পারবে, এ আশায়।

৪। আমার বংশে ও পরিবারে হাফেজ, আলেমের আধিক্য হবে, এক কথায় আমার বংশটি বড় হবে, আমার বংশে ভালো মানুষ বেশি থাকবে বা থাকতে পারে; সব মিলিয়ে পরকালে আমি অন্যদের তুলনায় বেশি সাওয়াব পাবো, সে জন্যে।

৫। আমি সৌদি আরব যেতে পারবো, সৌদি আরবে আমার কর্ম মিলবে, এ জন্যে।

৬। আমি সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পাবো; এ উদ্দেশ্যে।

৭। ঈমাম মাহাদী (আঃ) আমার বংশে আগত হবে, এ লক্ষ্যে।

আমাকে আরো বুঝতে নিম্নের লিংক সমূহে ক্লিক করতে পারেন।-
 ১। আমার আত্মজীবনী পড়তে- 
২। আমার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা জানতে-
৩। আমার কন্টেক্ট ঠিকানা জানতে-
৪। আমার ফুল ইনপো জানতে-
৫। আমার সাথে যে অশরীরী কিছু একটা রয়েছে, তা বুঝতে-
৬। আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে-
(অর্থ ও জনরোশের কারণে হয়তো এ ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দিতে পারি)
৭। আমার নিজ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত গুগল লোকেশন জানতে-
৮। আমাকে আরো ভালোভাবে বুঝতে-
এখানে ক্লিক করে, এ প্রবন্ধটিও পড়ে নিতে পারেন।
৯। আমার ফেসবুক একাউন্ট ভিজিট করতে-
১০। আমার ইউটিব চ্যানেল ভিজিট করতে-
১১। আমার ফাউন্ডেশনের অস্থায়ী অফিসটি দেখতে-
১২। আমার ফাউন্ডেশন যেদিন আরম্ভ করেছিলাম, সে সূচনা ভিডিও দেখতে-
১৩। আমার সকল মিডিয়া দেখতে-
ইনশা'আল্লাহ্! আমাকে বুঝতে বা আমাকে কর্ম প্রদান করার জন্যে বা বিয়ের লক্ষ্যে প্রস্তাব পাঠাতে বাকি সব বিষয় ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার বা ইমো বা হোয়াটস এপপ চ্যাটিং এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে আশা করি।
ধন্যবাদ। সকলে ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। ফী আমানিল্লাহ।